ছবিঃ শাহরিয়ার আলম সোহাগ

ঢাকাঃ

সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শীত বাড়ার খবর নিয়ে এসেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকাতেও রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

তাতে শীতের অনুভূতি খানিকটা বেড়েছে। আর রাস্তার শীতের ধুলা পরিণত হয়েছে বর্ষার কাদায়।

আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির এই প্রবণতা শুক্রবার সারাদিনই দেখা যাবে।

রাত ৯টা-১০টার পর বৃষ্টি বন্ধ হতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।

তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিরাজমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকছে।

‘সারা দেশে যে বৃষ্টি হচ্ছে সেটা রাতের পর থাকবে না। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের কোথাও কোথাও শনিবারও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।’

তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, অর্থাৎ শীত কিছুটা বাড়বে। বৃষ্টি একেবারে থেমে গেলে তাপমাত্রা বাড়বে।

শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে সর্বোচ্চ ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে; এ সময় ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারি জেলায় চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আফতাব উদ্দিন বলেন, শৈত্যপ্রবাহের পরিধি কিছুটা বাড়তে পারে।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে সারা দিনই কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে সারা দেশ। উত্তরাঞ্চলে কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

হালকা বৃষ্টি এবং শীতের কারণে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকায় বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে ঢাকার রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা।

তবে আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিহং ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

‘পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here