ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূকে আটকে রেখে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে।

অভিযুক্ত মানিক মিয়া

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রতিবেশী এক নারীকে কৌশলে অপহরণ করে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক মিয়া (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শালিকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, এ ঘটনায় রাত ৯টার দিকে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয় পাশের গ্রামে। গত ২২ মে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে শালিকা মোড়ে পৌঁছালে একই গ্রামের মানিক মোটরসাইকেলে তাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমাইলে নিয়ে যায়। সেখানকার একটি বাড়িতে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ১০ দিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে।

পরে গত ২ জুন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে করে ওই গৃহবধূকে নিয়ে ভালাইপুর মোড়ে নামিয়ে দেয় মানিক। পরে মোবাইলে রিচার্জ করার কথা বলে পালিয়ে যায় সে। সেখান থেকে বাবার বাড়ি ফিরে নির্যাতিত গৃহবধূ অপহরণ ও আটকে রেখে ধর্ষণের কথা জানান পরিবারের সদস্যদের।

শুক্রবার রাতে অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মানিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বলেন, রাতে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :

গৃহবধূকে আটকে রেখে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

Update Time : ০৮:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রতিবেশী এক নারীকে কৌশলে অপহরণ করে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক মিয়া (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শালিকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, এ ঘটনায় রাত ৯টার দিকে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয় পাশের গ্রামে। গত ২২ মে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে শালিকা মোড়ে পৌঁছালে একই গ্রামের মানিক মোটরসাইকেলে তাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমাইলে নিয়ে যায়। সেখানকার একটি বাড়িতে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ১০ দিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে।

পরে গত ২ জুন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে করে ওই গৃহবধূকে নিয়ে ভালাইপুর মোড়ে নামিয়ে দেয় মানিক। পরে মোবাইলে রিচার্জ করার কথা বলে পালিয়ে যায় সে। সেখান থেকে বাবার বাড়ি ফিরে নির্যাতিত গৃহবধূ অপহরণ ও আটকে রেখে ধর্ষণের কথা জানান পরিবারের সদস্যদের।

শুক্রবার রাতে অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মানিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বলেন, রাতে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ