ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা পল্লী চিকিৎসকরাই

Reporter Name

রংপুরঃ

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়ে বড় বড় ডাক্তারা যখন সেবা দিতে অস্বকৃতি জ্ঞাপন করছেন। তখন পল্লী চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর থেকে গ্রাম, পাড়া,মহল্লায় তৃণমূল মানুষের সেবাদিয়েযাচ্ছেন। গ্রামের মানুষের পল্লী চিকৎসকরাই একমাত্র রোগীেেদর ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে। সেই চিকিৎসকরাই আবার প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বাকীর হয়ে থাকে।করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে পল্লী চিকৎসকদের সংগঠন বিপিডিএ তহবিল হতে কিছুসংখ্যক চিকিৎসকে ফ্রি পিপি ও মাকর্স সরবরাহ করা হয়েছে। পল্লী চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তারা মাঠে নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর বাজারে পল্লী মঙ্গল সেবালয়ে বসে পল্লী চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার নিজের থেকে করোনা প্রটেক্ট সংগ্রহ করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পল্লীচিকিৎসক গোলাম সরোয়ার রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে মটরসাইকেল দূর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যায়। তারপরেও তিনি তার পল্লী মঙ্গল সেবালয়ে পিপি মার্কস পরে বসে প্রতিদিন অর্ধ শত রোগীর সেবা দিচ্ছেন। তার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধি কেবলেন, ভাই কি করব দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে বাড়িতে যদি বসে থাকি তাহলে এই অসহায় রোগী গুলো কোথায় যাবে। সেখানে কথা হয় কাউনিয়া উপজেলা বালাপাড়া গ্রামের রোগী আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি বলেন, এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিসবা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে তাই পল্লী চিকিৎসকরাই একমাত্র ভরাসা। পল্লী মঙ্গল সেবালয়ে চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার সকাল ৯ টা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন। তারপর চলে বিরামহীন ভাবে রোগী দেখা। প্রতিদিন তিনি ৫০ থেকে ৬০ জন রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কখনও কখনও তিনি ভাঙা পা নিয়ে রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

এরপর পীরগাছা উপজেলা পাকামাথা নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহিম রিফাত চিকিৎসালয়ে বসে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তারপর তিনি উপজেলার বড়পানসিয়া গ্রামে মটর সাইকেল যোগেরুগী দেখতে যান তিনি। সেখানে দেলোয়ার হোসেন খুশি নামের এক রোগী ডায়বেটিস ও পেশার চেক আপ করে ব্যবস্থা পত্র দেন তিনি।

পীরগাছা উপজেলার বিশাল ফার্মেসী তেবসে রোগী দেখছেন পল্লী চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বিদ্যুৎ। তার কাছ থেকে জানা যায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনার উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রাম গঞ্জে করোনার উপসর্গ রোগীর সন্ধান পান তাহলে তারা রোগীদের উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ) কেন্দ্রী কমিটির মহাসচিব রাকিবুল ইসলাম তুহিন বলেন, পল্লী চিকিসৎকরা স্বাধীনতার আগ থেকে বর্তমান সময় অবধি দেশের ক্লান্তি লগে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশের চিকিৎসা সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তথচ তাদের আবার বিভিন্ন সময় হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। বিপিডি এসংগঠনের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় ১ লক্ষ পল্লী চিকিৎসক, রংপুর বিভাগে প্রায় ১০ হাজার ২’শ ও রংপুর জেলাতে ৪ হাজার ২’শ ৯০ জন চিকিৎসক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা স

আমরা সরকারকে ম্যাসেচ দিতে চাই দেশের বিভিন্ন ক্লান্তি লগ্নে আমরা সরকারের সাথে ছিলাম,বর্তমানেও আছি ভবিষ্যতেও থাকব। তবে আমাদের প্রানের দাবি সরকার যেন পল্লী চিকিৎসকদের সকল প্রকার হয়রাণী থেকে মুক্তি ও ডাক্তার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার হিরম্ব কুমার বলেন, আমাদের এই জনবহুল দেশে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকায় পল্লী চিকিৎসকরা ও চিকিৎসা সেবা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০
৩৮৭ Time View

গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা পল্লী চিকিৎসকরাই

আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০

রংপুরঃ

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়ে বড় বড় ডাক্তারা যখন সেবা দিতে অস্বকৃতি জ্ঞাপন করছেন। তখন পল্লী চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর থেকে গ্রাম, পাড়া,মহল্লায় তৃণমূল মানুষের সেবাদিয়েযাচ্ছেন। গ্রামের মানুষের পল্লী চিকৎসকরাই একমাত্র রোগীেেদর ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে। সেই চিকিৎসকরাই আবার প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বাকীর হয়ে থাকে।করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে পল্লী চিকৎসকদের সংগঠন বিপিডিএ তহবিল হতে কিছুসংখ্যক চিকিৎসকে ফ্রি পিপি ও মাকর্স সরবরাহ করা হয়েছে। পল্লী চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তারা মাঠে নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর বাজারে পল্লী মঙ্গল সেবালয়ে বসে পল্লী চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার নিজের থেকে করোনা প্রটেক্ট সংগ্রহ করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পল্লীচিকিৎসক গোলাম সরোয়ার রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে মটরসাইকেল দূর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যায়। তারপরেও তিনি তার পল্লী মঙ্গল সেবালয়ে পিপি মার্কস পরে বসে প্রতিদিন অর্ধ শত রোগীর সেবা দিচ্ছেন। তার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধি কেবলেন, ভাই কি করব দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে বাড়িতে যদি বসে থাকি তাহলে এই অসহায় রোগী গুলো কোথায় যাবে। সেখানে কথা হয় কাউনিয়া উপজেলা বালাপাড়া গ্রামের রোগী আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি বলেন, এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিসবা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে তাই পল্লী চিকিৎসকরাই একমাত্র ভরাসা। পল্লী মঙ্গল সেবালয়ে চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার সকাল ৯ টা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন। তারপর চলে বিরামহীন ভাবে রোগী দেখা। প্রতিদিন তিনি ৫০ থেকে ৬০ জন রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কখনও কখনও তিনি ভাঙা পা নিয়ে রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

এরপর পীরগাছা উপজেলা পাকামাথা নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহিম রিফাত চিকিৎসালয়ে বসে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তারপর তিনি উপজেলার বড়পানসিয়া গ্রামে মটর সাইকেল যোগেরুগী দেখতে যান তিনি। সেখানে দেলোয়ার হোসেন খুশি নামের এক রোগী ডায়বেটিস ও পেশার চেক আপ করে ব্যবস্থা পত্র দেন তিনি।

পীরগাছা উপজেলার বিশাল ফার্মেসী তেবসে রোগী দেখছেন পল্লী চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বিদ্যুৎ। তার কাছ থেকে জানা যায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনার উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রাম গঞ্জে করোনার উপসর্গ রোগীর সন্ধান পান তাহলে তারা রোগীদের উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ) কেন্দ্রী কমিটির মহাসচিব রাকিবুল ইসলাম তুহিন বলেন, পল্লী চিকিসৎকরা স্বাধীনতার আগ থেকে বর্তমান সময় অবধি দেশের ক্লান্তি লগে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশের চিকিৎসা সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তথচ তাদের আবার বিভিন্ন সময় হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। বিপিডি এসংগঠনের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় ১ লক্ষ পল্লী চিকিৎসক, রংপুর বিভাগে প্রায় ১০ হাজার ২’শ ও রংপুর জেলাতে ৪ হাজার ২’শ ৯০ জন চিকিৎসক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা স

আমরা সরকারকে ম্যাসেচ দিতে চাই দেশের বিভিন্ন ক্লান্তি লগ্নে আমরা সরকারের সাথে ছিলাম,বর্তমানেও আছি ভবিষ্যতেও থাকব। তবে আমাদের প্রানের দাবি সরকার যেন পল্লী চিকিৎসকদের সকল প্রকার হয়রাণী থেকে মুক্তি ও ডাক্তার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার হিরম্ব কুমার বলেন, আমাদের এই জনবহুল দেশে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকায় পল্লী চিকিৎসকরা ও চিকিৎসা সেবা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।