ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গড়াই নদীর মধ্যে জ্বলছে ইট ভাটা, প্রশাসন নির্বিকার

Reporter Name

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া শহরতলী জুগিয়া এলাকায় গড়াই নদীর মধ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে নদীর জমি দখল করে চালাচ্ছেন ভাটা। জ্বলছে কাঠ, পুড়ছে ইট। নির্বিকার প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রকাশ্যে নদীর মধ্যে একই এলাকাতেই চলছে কয়েকটি ইটের ভাটা। ফলে নদীর পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। এ যেন মগের মুল্লুক। দেখার বুঝি কেউ নেই।

গত ২৫ ফেব্রয়ারি (বুধবার) সকালে কুষ্টিয়া জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক মো.আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেনো নদী দখলকারীর কোনো ছাড় নেই। সকল নদী পূণরুদ্ধারে কাজ করছে সরকার। অবৈধভাবে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে দমন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। তবে এখনও আগের নিময়েই বহাল তবিয়তে চলছে পরিবেশ বিপন্নকারী ইট ভাটা গুলো।

এব্যাপারে কয়েকজন ইটভাটা মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন,ওই ইটভাটা গুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তর কোনো ছাড়পত্র বা অনুমোদন দেয়নি। এর আগেও ওই ইটভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে। জেলায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটা গুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কুষ্টিয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, নদী দখলকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। নদী পূণরুদ্ধারে কাজ করছে সরকার। সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
৩৩৬ Time View

গড়াই নদীর মধ্যে জ্বলছে ইট ভাটা, প্রশাসন নির্বিকার

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া শহরতলী জুগিয়া এলাকায় গড়াই নদীর মধ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে নদীর জমি দখল করে চালাচ্ছেন ভাটা। জ্বলছে কাঠ, পুড়ছে ইট। নির্বিকার প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রকাশ্যে নদীর মধ্যে একই এলাকাতেই চলছে কয়েকটি ইটের ভাটা। ফলে নদীর পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। এ যেন মগের মুল্লুক। দেখার বুঝি কেউ নেই।

গত ২৫ ফেব্রয়ারি (বুধবার) সকালে কুষ্টিয়া জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক মো.আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেনো নদী দখলকারীর কোনো ছাড় নেই। সকল নদী পূণরুদ্ধারে কাজ করছে সরকার। অবৈধভাবে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে দমন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। তবে এখনও আগের নিময়েই বহাল তবিয়তে চলছে পরিবেশ বিপন্নকারী ইট ভাটা গুলো।

এব্যাপারে কয়েকজন ইটভাটা মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন,ওই ইটভাটা গুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তর কোনো ছাড়পত্র বা অনুমোদন দেয়নি। এর আগেও ওই ইটভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে। জেলায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটা গুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কুষ্টিয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, নদী দখলকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। নদী পূণরুদ্ধারে কাজ করছে সরকার। সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।