ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরে বসেই পাওয়া যাবে ভুমি অধিগ্রহনে ক্ষতিপূরনের টাকা

Reporter Name

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

এখন থেকে ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরনের টাকা পেতে আর দিনের পর দিন ছুটতে হবে না জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। পড়তে হবে না দালালদের খপ্পরে। ঘরে বসেই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে আবেদন করে অনলাইনে জমির মালিকের ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে ক্ষতিপূরনের টাকা। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো এই সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অর্গানিক বেতাগায় মহিষ প্রজনন কেন্দ্র সম্প্রসারণ প্রকল্পের ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্পর্কিত অনলাইনে সেবা কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন, ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।

জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামান, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, সহকারী কমিশনার মোঃ আলীমুজ্জামান মিলন, শেখ হেলাল উদ্দীন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ অমিত রায় চৌধুরী, বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী শেখ, উন্নয়ন সহযোগী আনন্দ কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা অমর চন্দ্র দাশ, জমির মালিকদের মধ্যে মোঃ আজিজুর রহমান ও ভবানী রানী দাশ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-সচিব মোঃ দৌলতুজ্জামান খান, মহিষ প্রজনন খামারের ব্যাবস্থাপক ডাঃ মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রহিমা সুলতানা বুশরা, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাছরুল মিল্লাত, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পুষ্পেন শিকদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদা দিলরুবা সুলতানাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের নের্তৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বলেন, আগামীতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে ভুমি অফিস তৈরী করে জনগণের সেবা দৌরগোড়াই পৌছায়ে দেয়া হবে। আগে জনগন সেবা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে যেতো এখন সরকার জনগনকে সেবা দেওয়ার জন্য জনগনের দৌরগোড়াই পৌঁছে যাচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক নিজে ঘরে বসে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করবে। আবেদনের সাথে তার সকল কাগজপত্রের স্কান কপি আপলোড করে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এটি যাচাই বাছাই করে শুনানীর দিন ধার্য করে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত দিনে জমির মালিকের কাছে পৌছে যাবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শুনানী শেষে তাকে চেক প্রদান করা হবে। ওই চেকের এ্যাডভাইস ও সফট কপি ইমেইলের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকের হিসাব থাকা ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সহজ এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য জমির মালিক ভবানী দাস বলেন, এমন একটি সহজ পদ্ধতি সবারই উপকারে আসবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:০০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৪২২ Time View

ঘরে বসেই পাওয়া যাবে ভুমি অধিগ্রহনে ক্ষতিপূরনের টাকা

আপডেট সময় : ০৬:০০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

এখন থেকে ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরনের টাকা পেতে আর দিনের পর দিন ছুটতে হবে না জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। পড়তে হবে না দালালদের খপ্পরে। ঘরে বসেই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে আবেদন করে অনলাইনে জমির মালিকের ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে ক্ষতিপূরনের টাকা। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো এই সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অর্গানিক বেতাগায় মহিষ প্রজনন কেন্দ্র সম্প্রসারণ প্রকল্পের ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্পর্কিত অনলাইনে সেবা কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন, ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।

জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামান, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, সহকারী কমিশনার মোঃ আলীমুজ্জামান মিলন, শেখ হেলাল উদ্দীন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ অমিত রায় চৌধুরী, বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী শেখ, উন্নয়ন সহযোগী আনন্দ কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা অমর চন্দ্র দাশ, জমির মালিকদের মধ্যে মোঃ আজিজুর রহমান ও ভবানী রানী দাশ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-সচিব মোঃ দৌলতুজ্জামান খান, মহিষ প্রজনন খামারের ব্যাবস্থাপক ডাঃ মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রহিমা সুলতানা বুশরা, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাছরুল মিল্লাত, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পুষ্পেন শিকদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদা দিলরুবা সুলতানাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের নের্তৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বলেন, আগামীতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে ভুমি অফিস তৈরী করে জনগণের সেবা দৌরগোড়াই পৌছায়ে দেয়া হবে। আগে জনগন সেবা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে যেতো এখন সরকার জনগনকে সেবা দেওয়ার জন্য জনগনের দৌরগোড়াই পৌঁছে যাচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক নিজে ঘরে বসে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করবে। আবেদনের সাথে তার সকল কাগজপত্রের স্কান কপি আপলোড করে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এটি যাচাই বাছাই করে শুনানীর দিন ধার্য করে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত দিনে জমির মালিকের কাছে পৌছে যাবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শুনানী শেষে তাকে চেক প্রদান করা হবে। ওই চেকের এ্যাডভাইস ও সফট কপি ইমেইলের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকের হিসাব থাকা ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সহজ এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য জমির মালিক ভবানী দাস বলেন, এমন একটি সহজ পদ্ধতি সবারই উপকারে আসবে।