ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় বিধবা মহিলাকে পেটালেন ইউপি সদস্য

Reporter Name

হাসপাতালের বেডে জামেলা বেগম। ইনসেটে মহিলা মেম্বর।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

জমি আছে ঘর নেই প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প প্রকল্পে ঘর দেওয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা ঘুষ উত্তোলন করেন সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম। সেই টাকা ফেরত চাইতেই বাহিনী নিয়ে বিধবা মহিলাকে মারপিট শুরু করেন ওই নারী সদস্য। উল্টো মারপিটের স্বীকার অসহায় মহিলার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত জামেলা বেগম তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি তালার খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী নলতা গ্রামের মৃত. আব্দুস সালাম গাজীর স্ত্রী।

বুধবার তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামেলা বেগম জানান, আমরা গরীব মানুষ। গত এক মাস আগে মহিলা মেম্বর ঝর্ণা বেগম সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকা চাই। সে জানায়, তুমি গরীব মানুষ ৩০ হাজার টাকা দিলে তোমার একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেব। প্রলোভনে পড়ে আমি ১০ হাজার টাকা তাকে দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, পরে বিভিন্নভাবে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর নিতে কোন টাকা লাগে না। তখন আমি মেম্বরের কাছে আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাই। তখন সে রাগান্বিত হয়ে যায়। গত (৩১ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে আমার বাড়িতে দলবল নিয়ে এসে বেপরোয়া মারপিট করে। তারপর থেকেই তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। থানায় জানিয়েছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে ওই মেম্বর।

অসহায় মহিলাকে মারপিট ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম বলেন, জামেলা বেগম অসহায় মানুষ। তার বিধবা কার্ড করে দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করেছি। ঘর দেওয়ার নাম করে আমি টাকা নেয়নি।

মারপিট করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাস্তায় ফেলে আমাকে অপমান করার কারণে আমার লোকজন তাকে মারপিট করেছে। থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়েরী করে রেখেছি।

খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, টাকা চাওয়া বা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। জামেলা বেগগের সঙ্গে মহিলা মেম্বারের মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। জামেলা বেগম এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, আমি এখনো জামেলা বেগমের কোন অভিযোগ পাইনি। মহিলা মেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ঘটনাটি তুচ্ছ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
৩৩৫ Time View

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় বিধবা মহিলাকে পেটালেন ইউপি সদস্য

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

জমি আছে ঘর নেই প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প প্রকল্পে ঘর দেওয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা ঘুষ উত্তোলন করেন সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম। সেই টাকা ফেরত চাইতেই বাহিনী নিয়ে বিধবা মহিলাকে মারপিট শুরু করেন ওই নারী সদস্য। উল্টো মারপিটের স্বীকার অসহায় মহিলার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত জামেলা বেগম তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি তালার খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী নলতা গ্রামের মৃত. আব্দুস সালাম গাজীর স্ত্রী।

বুধবার তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামেলা বেগম জানান, আমরা গরীব মানুষ। গত এক মাস আগে মহিলা মেম্বর ঝর্ণা বেগম সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকা চাই। সে জানায়, তুমি গরীব মানুষ ৩০ হাজার টাকা দিলে তোমার একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেব। প্রলোভনে পড়ে আমি ১০ হাজার টাকা তাকে দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, পরে বিভিন্নভাবে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর নিতে কোন টাকা লাগে না। তখন আমি মেম্বরের কাছে আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাই। তখন সে রাগান্বিত হয়ে যায়। গত (৩১ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে আমার বাড়িতে দলবল নিয়ে এসে বেপরোয়া মারপিট করে। তারপর থেকেই তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। থানায় জানিয়েছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে ওই মেম্বর।

অসহায় মহিলাকে মারপিট ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম বলেন, জামেলা বেগম অসহায় মানুষ। তার বিধবা কার্ড করে দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করেছি। ঘর দেওয়ার নাম করে আমি টাকা নেয়নি।

মারপিট করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাস্তায় ফেলে আমাকে অপমান করার কারণে আমার লোকজন তাকে মারপিট করেছে। থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়েরী করে রেখেছি।

খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, টাকা চাওয়া বা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। জামেলা বেগগের সঙ্গে মহিলা মেম্বারের মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। জামেলা বেগম এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, আমি এখনো জামেলা বেগমের কোন অভিযোগ পাইনি। মহিলা মেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ঘটনাটি তুচ্ছ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।