ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষের মামলায় সু চির ৩ বছরের কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত। বুধবার আদালতের ওই রায় সম্পর্কে অবগত আছেন এমন এক সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সামরিক শাসনবিরোধী ৭৭ বছর বয়সী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ থেকে শুরু করে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের মোট সর্বোচ্চ সাজা প্রায় ১৯০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। সু চি এসব অভিযোগকে অযৌক্তিক বলেছেন এবং তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন।

গতবছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর থেকে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চিকে দেশটির রাজধানী নিপিধোয়ের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে এবং সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে তার রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। গণমাধ্যমকে এ বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না। সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এর আগে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গ, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার এবং ঘুষ নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে কারাদণ্ড হয়েছে সু চির।

Tag :
জনপ্রিয়

ঘুষের মামলায় সু চির ৩ বছরের কারাদণ্ড

Update Time : ০৪:৩১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত। বুধবার আদালতের ওই রায় সম্পর্কে অবগত আছেন এমন এক সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সামরিক শাসনবিরোধী ৭৭ বছর বয়সী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ থেকে শুরু করে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের মোট সর্বোচ্চ সাজা প্রায় ১৯০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। সু চি এসব অভিযোগকে অযৌক্তিক বলেছেন এবং তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন।

গতবছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর থেকে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চিকে দেশটির রাজধানী নিপিধোয়ের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে এবং সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে তার রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। গণমাধ্যমকে এ বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না। সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এর আগে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গ, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার এবং ঘুষ নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে কারাদণ্ড হয়েছে সু চির।