ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষ যে দেবে-নেবে উভয়েই অপরাধী: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name

ঢাকাঃ

ঘুষ যে দেবে-নেবে উভয়েই অপরাধী। উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই জিনিসটা মাথায় রাখা এবং সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাহলে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত হবে। রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের তো সীমা আছে। মানুষ আসলে অন্ধ হয়ে যায় অর্থের জন্য। কিন্তু এটা ভুলে যায় যে মরে গেলে কিছু সাথে নেওয়া যাবে না, কবরে একাই যেতে হবে। যা রেখে যাবে সেটা আর কোনোদিন কাজে লাগবে না। আর যদি বেশি রেখে যায় তবে ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ওই নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়ে যাবে। এখন যেটা যথেষ্ট দেখা যায়।

তিনি বলেন, এই অন্ধের মত ছুটে বেড়ানো। আর নিজের সবকিছু নষ্ট করার কী অর্থ থাকে? কার কত আয়, আয় বুঝে ব্যয়; জীবনটা সবার ভালোভাবে চলুক সেটা আমরা চাই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টা সামনে নিয়ে আসা- যে ঘুষ দেবে সেও যেমন দোষী, যে নেবে সে দোষী। তাহলে এভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, এটা নিয়ন্ত্রণ করলে আমাদের অনেক কাজ আমরা দ্রুত করতে পারবো।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যথেষ্ট সক্রিয় আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সচিবসহ তার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৩:২৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
৩০১ Time View

ঘুষ যে দেবে-নেবে উভয়েই অপরাধী: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:২৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯

ঢাকাঃ

ঘুষ যে দেবে-নেবে উভয়েই অপরাধী। উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই জিনিসটা মাথায় রাখা এবং সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাহলে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত হবে। রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের তো সীমা আছে। মানুষ আসলে অন্ধ হয়ে যায় অর্থের জন্য। কিন্তু এটা ভুলে যায় যে মরে গেলে কিছু সাথে নেওয়া যাবে না, কবরে একাই যেতে হবে। যা রেখে যাবে সেটা আর কোনোদিন কাজে লাগবে না। আর যদি বেশি রেখে যায় তবে ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ওই নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়ে যাবে। এখন যেটা যথেষ্ট দেখা যায়।

তিনি বলেন, এই অন্ধের মত ছুটে বেড়ানো। আর নিজের সবকিছু নষ্ট করার কী অর্থ থাকে? কার কত আয়, আয় বুঝে ব্যয়; জীবনটা সবার ভালোভাবে চলুক সেটা আমরা চাই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টা সামনে নিয়ে আসা- যে ঘুষ দেবে সেও যেমন দোষী, যে নেবে সে দোষী। তাহলে এভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, এটা নিয়ন্ত্রণ করলে আমাদের অনেক কাজ আমরা দ্রুত করতে পারবো।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যথেষ্ট সক্রিয় আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সচিবসহ তার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।