ঘূর্ণিঝড় আম্পান: বাগেরহাটে ৫৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে রক্ষা পেতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ১ হাজার ৩১ টি সাইক্লোন সেল্টারে ৫৭ হাজার ৯শ ২৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়নেয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। একই সাথে ৯ হাজার ৫শ ৫০টি গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায় অবস্থান করছিলেন। তিনি উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
তিনি আরো জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবেনা। সবাইকে সামাজিক দূরত্ত বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। এজন্য স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সাথে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৫টি মেডিকেল টিম। এ জেলার জন্য ২০০ মে: টন চাল, নগত ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ. গো খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটে মঙ্গলবার দুপুর থেকে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সন্ধা থেকে বৃস্টির সাথে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বেড়েছে উপকূলীয় এলাকার একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন।