বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর ওয়াসার মোড় এবং দুই নম্বর গেট এলাকায় পরিবহনের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে তারা।
এর মধ্যে ইটের আঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে ওয়াসার মোড় এলাকায়।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পড়ে ও কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ওয়াসার মোড় এলাকায় সমবেত হয়।
শুরুতে তারা সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। পরে ওই সড়ক ধরে চলাচলকারী যানবাহনের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে শুরু করে।
বেলা ১২টার দিকে সিডিএ এভিনিউ দিয়ে মূল সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কারের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখছিল। তবে রোগী বহনকারী এম্বুলেন্স ও কিছু গাড়ি চলে যেতে দেয় শিক্ষার্থীরা।এদিকে ওয়াসার মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় ঘুর পথে যানবাহন চলাচল শুরু করে সকাল থেকেই। এতে করে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়, আলমাস সিনেমার মোড়, মেহেদীবাগ, চট্টেশ্বরী রোড, লাভ লেইনসহ আশেপাশের এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
এখানে বিএএফ শাহীন কলেজ, ক্যামব্রিয়ান কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজ এবং সরকারি সিটি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অবস্থান নেয়।
তাদের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাদের নিস্ক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওয়াসার মোড় এলাকায় একটি বাস ভাংচুর করে।
এরপর সেখান দিয়ে চলাচলকারী একটি পুলিশ ভ্যানকে থামানোর চেষ্টা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। থামাতে না পেরে গাড়িটি লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়লে ভ্যানের চালক পুলিশ সদস্য আহত হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢিলের আঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এদিকে ১১টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থায় নেয় প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী।
সেখানে প্রায় এক হাজারের মতো শিক্ষার্থী ছিল। এদের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ও শ্যামলী পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে।
সেখানেও একই উপায়ে যানবাহনের কাগজপত্র দেখছিল শিক্ষার্থীরা।
দুই নম্বর গেটে অবস্থানের কারণে সংলগ্ন এলাকা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বায়েজিদ বোস্তামি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার বিকেল থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাইরেও অন্য লোকজনদের বিক্ষোভে ওয়াসার মোড় ও দুই নম্বর গেট এলাকায় জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল।