ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজি মামলায় কি হবে? বলার কিছুক্ষণ পরই ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইনকে চাঁদাবাজি মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত -৮ এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব রায় জামিন আবেদন নাকোজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।

চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামী আসমাউল হুসাইন আশাশুনি উপজেলা সদরের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।

মামলার বাদী এনজিওকর্মী জাবের হোসেন জানান, আমাকে আটক রেখে বেধড়ক মারপিট করে ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হুসাইনসহ তার সঙ্গীরা। এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। পরবর্তীতে বাকিটাকা পরিশোধ করার জন্য হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, পরদিন গত ৩০ ডিসেম্বর আশাশুনি থানায় আসমাউল হুসাইন (৩০), সেলিম রেজা (২৮), রানা ওরফে গুটি রানা (২৯), জয়নাল (২৭), জেনিথ (২৬), আল-আমিন হোসেনসহ (২৭) অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করি।
তিনি বলেন, আজ (রোববার) শুনানীর আগে আদালতের বারাদ্ধায় আসামীরা বলে, এ তো আর মার্ডার কেসের মামলা না যে, ফাঁশি হবে। চাঁদাবাজির মামলায় কি আর হবে ? তোকে জীবনে শেষ করে দিবো।

সাতক্ষীরা আদালতের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, মামলার ছয় আসামী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত চারজনের জামিন মজ্ঞুর ও মামলার প্রধান আসামী আসমাউল হুসাইনের জামিন না’মজ্ঞুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
৪১০ Time View

চাঁদাবাজি মামলায় কি হবে? বলার কিছুক্ষণ পরই ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইনকে চাঁদাবাজি মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত -৮ এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব রায় জামিন আবেদন নাকোজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন।

চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামী আসমাউল হুসাইন আশাশুনি উপজেলা সদরের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।

মামলার বাদী এনজিওকর্মী জাবের হোসেন জানান, আমাকে আটক রেখে বেধড়ক মারপিট করে ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হুসাইনসহ তার সঙ্গীরা। এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। পরবর্তীতে বাকিটাকা পরিশোধ করার জন্য হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, পরদিন গত ৩০ ডিসেম্বর আশাশুনি থানায় আসমাউল হুসাইন (৩০), সেলিম রেজা (২৮), রানা ওরফে গুটি রানা (২৯), জয়নাল (২৭), জেনিথ (২৬), আল-আমিন হোসেনসহ (২৭) অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করি।
তিনি বলেন, আজ (রোববার) শুনানীর আগে আদালতের বারাদ্ধায় আসামীরা বলে, এ তো আর মার্ডার কেসের মামলা না যে, ফাঁশি হবে। চাঁদাবাজির মামলায় কি আর হবে ? তোকে জীবনে শেষ করে দিবো।

সাতক্ষীরা আদালতের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, মামলার ছয় আসামী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত চারজনের জামিন মজ্ঞুর ও মামলার প্রধান আসামী আসমাউল হুসাইনের জামিন না’মজ্ঞুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।