ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে পোকার কামড়ে নতুন ভাইরাস, ৭ জনের মৃত্যু

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সামলাতে পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক কোটি ৮৫ লাখের বেশি আক্রান্ত। ভয়াবহ এ পরিস্থিতির মধ্যে আবার নতুন ভাইরাসের উৎপাত শুরু হয়েছে চীনে।

বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিশেষ এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। চীনের নতুন এ ভাইরাসে এরই মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ জন।

চীনের গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশ এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনের শরীরে নয়া এসএফটিএস (সিভিয়ার ফিভার উইথ থ্রমবোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম) ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশও আরও ২৩ জন নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত।

এ ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দিকাশি, সেইসঙ্গে লিউকোসাইটের সংখ্যা হ্রাস। কোভিড ভাইরাসের মতো এসএফটিএস ভাইরাস প্রাণঘাতী কিনা, তা এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে আছে। তবে কোভিড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে না চীন।

জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের এক আক্রান্ত নারী জ্বর-সর্দির মতো সাধারণ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। জ্বর না কমায় চিকিৎসকেরা রক্ত পরীক্ষা করাতে দেন। ফলাফলে দেখা যায়, লিউকোসাইট কমে গেছে। প্লেটলেটের সংখ্যাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম। হাসপাতালে রেখে এক মাসের উপর চিকিৎসা চলে। তার পরেই নারী সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে জানা যায় ওই নারী নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত।

চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের বরাতে গ্লোবাল টাইমসে বলছে, এসএফটিএস ভাইরাস আদতে নতুন ভাইরাস নয়। ২০১১ সালেই এই ভাইরাসের প্যাথোজেনকে পৃথক করা হয়। এটি বুনিয়াভাইরাসের ক্যাটাগরিতে পড়ে।

ভাইরোলজিস্টদের ধারণা, বিশেষ এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকেই মানুষের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। তবে মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তারা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

রক্ত বা মিউকাস থেকে ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের ঝিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক শেং জিফাং। চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পোকার দংশনই হল প্রধান সংক্রমণ রুট। তাই একটু সাবধানে থাকতে হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:২১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০
৪০০ Time View

চীনে পোকার কামড়ে নতুন ভাইরাস, ৭ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:২১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সামলাতে পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক কোটি ৮৫ লাখের বেশি আক্রান্ত। ভয়াবহ এ পরিস্থিতির মধ্যে আবার নতুন ভাইরাসের উৎপাত শুরু হয়েছে চীনে।

বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিশেষ এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। চীনের নতুন এ ভাইরাসে এরই মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ জন।

চীনের গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশ এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনের শরীরে নয়া এসএফটিএস (সিভিয়ার ফিভার উইথ থ্রমবোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম) ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশও আরও ২৩ জন নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত।

এ ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দিকাশি, সেইসঙ্গে লিউকোসাইটের সংখ্যা হ্রাস। কোভিড ভাইরাসের মতো এসএফটিএস ভাইরাস প্রাণঘাতী কিনা, তা এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে আছে। তবে কোভিড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে না চীন।

জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের এক আক্রান্ত নারী জ্বর-সর্দির মতো সাধারণ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। জ্বর না কমায় চিকিৎসকেরা রক্ত পরীক্ষা করাতে দেন। ফলাফলে দেখা যায়, লিউকোসাইট কমে গেছে। প্লেটলেটের সংখ্যাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম। হাসপাতালে রেখে এক মাসের উপর চিকিৎসা চলে। তার পরেই নারী সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে জানা যায় ওই নারী নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত।

চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের বরাতে গ্লোবাল টাইমসে বলছে, এসএফটিএস ভাইরাস আদতে নতুন ভাইরাস নয়। ২০১১ সালেই এই ভাইরাসের প্যাথোজেনকে পৃথক করা হয়। এটি বুনিয়াভাইরাসের ক্যাটাগরিতে পড়ে।

ভাইরোলজিস্টদের ধারণা, বিশেষ এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকেই মানুষের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। তবে মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তারা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

রক্ত বা মিউকাস থেকে ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের ঝিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক শেং জিফাং। চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পোকার দংশনই হল প্রধান সংক্রমণ রুট। তাই একটু সাবধানে থাকতে হবে।