আল মামুন সোহাগ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা উপজেলা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এদেরকে নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো যশোহর বাঘারপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে লিটন (৩০) ও নড়াইল জেলার লোহাগড়ার ইটনা গ্রামের হাদিয়ার রহমানের ছেলে বাবুল ওরফে ডন (৩৫)
গত বছরের ৯ অক্টোবর রাত ১ টার দিকে দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের দামুড়হুদার কাঠালতলা নামকস্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিলো। সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতরা কয়েকটি যাত্রীবাহি পরিবহন, ট্রাক, থ্রি হুইলারের গতিরোধ করে টাকা, মোবাইল সহ মালামাল লুট করেছিলো। সে সময় দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক সরদার আলআমিন, চালক ও অফিস সহকারির টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতেরা। ঘটনার পর থেকে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে ডাকাত গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়। সুকুমার বিশ্বাসের দুরদর্শিতা ও দক্ষ নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দস্তকের স্টাইলে দীর্ঘ অভিযানে আন্ত: জেলা ডাকাতদলের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, গত ১০/১০/২০১৮ তারিখে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা মহাসড়কে জয়রামপুর কাঠাল তলা নামক স্থানে ১০/১২ জনের ডাকাত দল সড়কে গাছ ফেলে ঢাকা গামী পূর্বাশা পরিবহনের গতিরোধ করে। যাত্রীদের নিকট থেকে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া কিছু আলামত উদ্ধার করে।
ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া আলামতের সুত্র ধরে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুই ডাকাতকে সনাক্ত করে। পরে তাদের এন আইডি’র নম্বর ধরে যশোহর বাঘার পাড়া ও নড়াইল জেলার লোহাগড়ার ইটনা গ্রাম থেকে লিটন ও বাবুল ওরফে ডন কে আটক করে।গ্রেফতারের পর ঘটনার বর্ণনা দিলেন চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল ও ওসি সুকুমার বিশ্বাস। অভিযানে ছিলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সহ একদল অফিসার ও সদস্য।