আল মামুন সোহাগ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির আটককৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে আইএস আছে এটা  আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র, দেশে পথ হারানো কিছু মানুষ জঙ্গী সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে হিরো সাজার চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বাংলাদেশে আইএস নামে কোন সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। এটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশে পথ হারানো কিছু বিপথগামী মানুষ এই সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে হিরো সাজার চেষ্টা করছে। সোমবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। 
মন্ত্রী আরও বলেন, শ্রীলঙ্কাতে সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশ সরকার জঙ্গী হামলার বিষয়ে সর্তক রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে কাজ করছে। অতীতে আমরা জঙ্গী দমনে সফল হয়েছি। বাংলাদেশের জনগণ এসব জঙ্গীকে আশ্রয় প্রশয় দেয় না। 
মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি বলেন, সরকারের আহব্বানে সাড়া দিয়ে যারা আত্মসমপর্ণ করবেন তাদের প্রতি সহনশীন হবেন সরকার। আর যারা আত্মসমপর্ণ করবেন না তাদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে। 
মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  ঢাকা মহানগর উত্তর আআওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এম পি ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন  চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ মানুষের নেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন,  চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি জননেতা হাজী আলী আজগর টগর, চুয়াডাঙ্গা মেয়র জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মোঃওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু।বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম এনডিসি পিএসসি, দক্ষিণ পশ্চিম রিজিওনের অতি: মহাপরিচালক আইনুল মোর্শেদ খাঁন পাঠান, খুলনা সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক আরশাদুজ্জামান, , চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক ইমাম হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাশ, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম। 

অনুষ্ঠান শেষে  গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিবির হাতে আটক হওয়া ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ২১ হাজার ৩২ বোতল মদ, ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১ হাজার ১৫৫ কেজি গাঁজা, ২ কেজি ৪৯৪ গ্রাম হেরোইন, ১৯ হাজার ৮০১ পিস ইয়াবা, ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৬ পিচ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ৪৪ হাজার ৫৮৩ প্যাকেট পাতার বিড়ি, ৫০০ কেজি ডলোমাইন পাউডার, ২৯ কেজি কার্বাইড, ৪ হাজার ৬২০টি নেশা জাতীয় ইনজাকশন ও ৪ কেজি জট তামাক ধংস করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here