ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৬:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে।

 

চুয়াডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আলতাপ হোসেন (৪৬) নামের এক বাবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চুয়াডাঙ্গার বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে আলতাপ হোসেন তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একাধিকবার এ অপকর্ম চালিয়ে যান। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর বিয়ের কয়েক দিন পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসার মাধ্যমে জানা যায় সে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী মামলার তদন্ত শেষে ১১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, জরিমানার অর্থ দণ্ডিতের জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে এবং তা ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, এই ঘৃণ্য অপরাধে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায় প্রদান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমাজে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

সবুজদেশ/এসইউ

চুয়াডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৬:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আলতাপ হোসেন (৪৬) নামের এক বাবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চুয়াডাঙ্গার বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে আলতাপ হোসেন তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একাধিকবার এ অপকর্ম চালিয়ে যান। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর বিয়ের কয়েক দিন পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসার মাধ্যমে জানা যায় সে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী মামলার তদন্ত শেষে ১১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, জরিমানার অর্থ দণ্ডিতের জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে এবং তা ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, এই ঘৃণ্য অপরাধে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায় প্রদান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমাজে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

সবুজদেশ/এসইউ