চুয়াডাঙ্গাঃ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোবাইলে ডেকে নিয়ে মনিরুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশ থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মনিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আজ তার লাশ ময়নাতদন্ত হবে।
নিহত মনিরুল ইসলাম খাসকররা ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের মৃত আছের আলীর ছেলে।
তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন দাবি করে বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। এ নিয়ে এলাকার অনেকেরই চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে মোবাইলফোনে ডাকে। তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ফিরে না এলে আমরা খোঁজ করতে থাকি।
রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের কাছে তাকে অচেতন অবস্থায় পাই। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। আমার ধারণা, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আহসানুল হক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মনিরুলের মৃত্যু হয়েছে। তার বাম হাতে একটা আঘাতের চিহ্ন আছে।
নিহত মনিরুলের স্ত্রী নাসিমা খাতুন অভিযোগ করেন, পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর ইউনিয়নের আসানন্দপুর গ্রামের আনার কসাইয়ের ছেলে মিজান আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এ ব্যাপারে আমি থানায় জিডি করে রেখেছি।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মনিরুল ইসলামকে কে বা কারা উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করেছিল।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধারণা করা হচ্ছে কৌশলে ডেকে মনিরুলকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।