চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিকে উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহররের রেলবাজার এলাকায় তার ওপর এ হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল পাড়ার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি রাতে শহরের রেল বাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ৮/১০ জনের একটি দূর্বৃত্তদল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যপুরি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে এ্যাড শফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা: ওয়ালিউর রহমান নয়ন জানান, ধারালো অস্ত্রের কোপে আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. শফির পিঠে ঘাড়ে ও পেটে মারাত্মক জখম হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারালো অস্ত্রের কোপে তার ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা অস্ত্রপচারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকাতে রেফার্ড করা হবে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড শফিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় হাসপাতালে দ্রুত ছুটে যান পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশাদুল হক বিশ্বাস, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশাদুল হক বিশ্বাস এ্যাড. শফির ওপর হামলাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, অবিলম্বে হামলাকারীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় শান্ত চুয়াডাঙ্গা অশান্ত হলে দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু হামলাকারীদেরকে জেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন।

তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, হামলা করে আর চুয়াডাঙ্গাতে রাজনীতি করা যাবে না।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম হামলার বলেন, হামলাকারীরা যে বর্ণের হোক তার প্রকৃত পরিচয় তারা সন্ত্রাসী।

তারা যত বড়ই শক্তিশালী হোক তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একই সাথে এ হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন তিনি।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এ্যাড. শফির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতেই চুয়াডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা। তারা এ ঘটনায় ছাত্রলীগের চিহ্নিত একটি গ্রুপকে হামলার জন্য দায়ী করে শ্লোগান দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here