বিয়েতে রাজি হওয়ায় নাতির পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন দাদি
চুয়াডাঙ্গাঃ
প্রেমিক নাতির বিয়ের খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে ঘরে ডেকে নিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন দাদি। গুরুতর অবস্থায় নাতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই গুরুতর অবস্থায় নাতিকে আলমডাঙ্গা শহরের শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
শেফা ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুরুতর অবস্থায় নাতিকে ক্লিনিকে আনা হয়। নাতির কেটে ফেলা পুরুষাঙ্গে আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে ১১ মাস আগে বিদেশ যান। এ সুযোগে প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রবাসীর স্ত্রী। প্রেমের সম্পর্ক দাদি-নাতির শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়।
এরই মধ্যে অবিবাহিত প্রেমিক নাতির বিয়ে দিনক্ষণ ঠিক হয়। নাতির বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। বিয়েতে প্রেমিক নাতির সম্মতি ছিল। এতে রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়েন দাদি। সোমবার রাতে প্রেমিক নাতিকে মোবাইল ফোনে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ডেকে নেন দাদি। পরে শারীরিক সম্পর্কের সময় ব্লেড দিয়ে নাতির পুরুষাঙ্গ কেটে দেন দাদি। এতে গুরুতর আহত হন প্রেমিক নাতি। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নাতিকে আলমডাঙ্গা শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে কেটে ফেলা পুরুষাঙ্গে আটটি সেলাই দেয়া হয়।
শেফা ক্লিনিকের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।