চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ১৯৮টি ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে তাক লাগিয়ে দিলেন নৌকা প্রতিকের মনোনয় প্রত্যাশী বকুল
২ হাজার নেতাদের নিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতিসভা
চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনায় শাপলা র্পাকে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ দু’হাজার নেতাদের নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বকুল
আপনারা প্রত্যেকেই এক একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক একটি দূর্গ
সরকার বাদল:
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’ চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিসভা। উক্ত প্রস্তুতিসভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ২টি পৌরসভা, ২০টি ইউনিয়ন ও ১৯৮টি ওয়ার্ড পর্যায়ের শুধুমাত্র ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিােশার মঞ্চ’ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা কমিটির ৩১ জন ৪টি উপজেলা শাখা কমিটির ২৫ জন করে ১০০ জন ৪ টি পৌরসভা শাখা কমিটির ২১ জন করে ৮৪ জন ২০ টি ইউনিয়ন শাখা কমিটির ২১ জন করে ৪২০ জন ১৯৮ টি ওয়ার্ড শাখা কমিটির ৭ জন করে ১৩৮৬ জন মোট ২০২১ জন নেতা। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় দর্শনার শাপলা পার্কে।
শরতের হালকা রোদেলা সকালে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’র আমন্ত্রিত নেতারা বেশ শতর্ফূর্তভাবেই উপস্থিত হন অনুষ্ঠান স্থলে। পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মুল কার্যক্রম। একে একে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য পেশ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ¦ মো. সাদিকুর রহমান বকুল। সে সময় তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ২০ মার্চ বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোরদের নিয়ে জন্মোৎসব পালনের সময় তিনি দেখলেন বাংলাদেশ আ.লীগের গঠন তন্ত্রে শিশুদের নিয়ে কোন কার্যক্রম উলে¬খ নাই। তখন শিশু সংগঠক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই, নাট্য ও সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল¬াহ আল মামুনকে নির্দেশ করেন একটি জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ গঠন করার জন্য। সেই পরিপেক্ষিতে তারা সংগঠনের কার্যক্রম অনেকটা আগিয়ে নেন। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধূর সপরিবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে এটি আলোর মূখ দেখতে পাইনি। পুনরায় শিশু সংগঠক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ সম্পাদক জনাব মো. ইমরান চৌধুরী আহ্বায়ক ও সাবেক চাকসুর জিএস, চলচিত্র ও টিভি অভিনেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশিত সংগঠনটির নামের পূর্বে বঙ্গবন্ধু শব্দটি যোগ করে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ সংগঠনটি সারা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে বিকশিত করছে। যা আজ সারা বাংলাদেশে সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে। দেশের তরুণ প্রজন্মরাই হচ্ছে দেশের সব থেকে বড় শক্তি। আমাদের যুব সমাজ দেশের উন্নয়নে তাদের মেধা ও মনকে কাজে লাগাবে এবং নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করবে যাতে দেশকে আরো উন্নতির দিকে বেগবান করা যায়। আজকের যারা শিশু কিশোর এবং তরুণ তাদের ভবিষ্যৎটা যেন আরো বেশী সুন্দর ও উজ্জল হয় সে দিকে লক্ষ রেখেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
সে সময় তিনি আরো বলেন, প্রিয় উপস্থিতি আপনারা জানেন যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনে বলেছিলেন প্রতিটি পাড়ায়, মহল¬ায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক একটি দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। আপনারা আজ যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন সেই আপনারাই হচ্ছেন এক একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক একটি দূর্গ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি গ্রামে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করতে এই দূর্গ থেকে নিরলষভাবে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রূপকার। উন্নয়নের ছোয়া দেশের প্রতিটি প্রান্তে আজ দৃশ্যমান। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবিদ্ধির হার বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান ও ভাতা বৃদ্ধি। সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি। খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। বিনামূল্যে গরীব চাষীদের মধ্যে সার বিতরণ ও সহজ সুদে কৃষি ঋণ প্রদান। স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক উন্নতি। বিনামূল্যে বই বিতারণ। গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ দুগ্ধ ভাতা, ইত্যাদি প্রদান করে চলেছে এই সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে আজ চুয়াডাঙ্গা জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পুরো বাংলাদেশ। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে পদ্মাসেতু, গ্রাম্য অবকাঠামো উন্নয়ন, কাচা রাস্তা পাকাকরণ, খেলার জন্য বড় ও ছোট স্টেডিয়াম নির্মান যা আপনি আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। আর এ সবেরই অবদান একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার।
আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার চুড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষ্ধুা, দারিদ্রমুক্ত, নিরক্ষরতা, জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অভিসাপমুক্ত একটি সুখি সমৃদ্ধি ন্যায় ভিত্তিক, জ্ঞাননির্ভর, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে এবং উন্নয়নের ধারা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’ সারাদেশে শিশু কিশোরদের মধ্যে তা তুলে ধরার পাশাপাশি শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রকৃত নৌকার মাঝি হলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, তিন তিন বার নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি সহ আমারমত যারা সারাদেশে সেই নৌকা প্রতিককে নিয়ে বিশাল সুমদ্র পাড়ি জমানোর সহযোগী হতে চেষ্ঠা করছেন, সেই আমরা সকলেই বৃহৎ এই দলের নাম মাত্র কর্মিছাড়া আর কিছুই নয়। বিধায় বৃহৎ এই দল থেকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনিত করবেন। যিনি মনোনয়ন পাবেন সেই সৌভাগ্যবান ব্যাক্তির পক্ষে আমি এবং আমার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’র নেতাকর্মিরা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে নিরলষ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮ চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে আমরা করাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা প্রতিটি খেলায় প্রতিটি শিশু কিশোরদেরকে উদ্বোদ্ধু করতে চেষ্ঠা করেছি যে, সকল শিশু কিশোরদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। সেই সাথে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতে শিশু কিশোরদেরকে আমরা উৎসাহিত করছি। আমরা যত বেশি শিশু কিশোরদেরকে উৎসাহিত করতে পারবো তত বেশী তারা চরিত্রবান অনমনীয় দৃঢ় ও সুসাস্থের অধিকারি হবে। মাদক ও জঙ্গী থেকে নিজেদেরকে দুরে রাখবে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের ভবিষ্যৎ যেন সুন্দর উজ্জল ও সফল হয় সেটায় আমাদের মুল লক্ষ্য। আজকের শিশু কিশোররা বড় হয়ে দেশের জন্য জাতির জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকার করতে সব সময় প্রস্তুত থাকবে। কারণ যে কোন ত্যাগের মধ্য দিয়েই মহান উদ্দেশ্য অর্জন করা যায়। এটাই শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রিয় উপস্থিতি আপনাদেরকে আমি এই মূহুর্তে একটি চমক দিতে চাই। আর তা হচ্ছে এই যে, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ২টি উপজেলা শাখা কমিটির ২৫ জন করে ৫০ জন ২ টি পৌরসভায় ২১ জন করে ৪২ জন ২০ টি ইউনিয়নের ২১ জন করে ৪২০ জন, প্রতি ওয়ার্ডে ১০০ জন করে ১৯৮ টি ওয়ার্ডে ১৯৮০০ জন মোট ২০৩১২ জন নেতাকর্মী বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আছে। ২০,৩১২ জন নেতাকর্মীর এক একজন তার আত্মীয় স্বজনদের মধ্য থেকে ১৫ জন করে অর্থাৎ ৩,০৪,৬৮০ (তিন লক্ষ চার হাজার ছয়শ আশি) টি ভোট নৌকায় প্রতিককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সংগ্রহ সম্পন্ন করেছে। ৫লক্ষ ভোটের মধ্য থেকে যদি ৩ লক্ষ ভোট নৌকা প্রতিকে প্রদান করা হয় তা হলে কি নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত নয় কি? চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মঞ্চ’র সংগ্রহীত সেই ৩,০৪,৬৮০ ভোট আমরা আমাদের মমতাময়ী, বিচক্ষণ, সাহসী, দেশ রত্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব এবং নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করবো ইনশাল্লা।
আল মামুন সোহাগ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি