যশোরের চৌগাছায় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে গাছ রোপণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার ছোট নিয়ামতপুর গ্রামের সোহেল রানা, ফারুখ হোসেন, নজিরুদ্দীন, গোলাম মোস্তফা ও জাহাঙ্গীর নামের ব্যক্তিরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সম্প্রতি নদী খনন কাজ চলাকালীন তাদের ব্যক্তিমালিকানা জমিতে অনুমতি ছাড়া খননকৃত মাটি ফেলা হয় এবং সেই মাটির উপর বন বিভাগের পক্ষ থেকে গাছ লাগানো হয়। এতে তারা তাদের নিজ জমির স্বাভাবিক দখল ও ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ২০২৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দেন জমির মালিক সোহেল রানা ও ফারুখ হোসেন। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় তাদের মালিকানাধীন জমিটি মৌজা বকসীপুর, জে.এল. নং ৪৯, দাগ নং আরএস ১৩৪০, ১৩৯৬ ও ১৩৯৭, খতিয়ান নং ৩৯৭ ও ১৪-এ অবস্থিত, যার পরিমাণ ১.০৯ একর। কিন্তু কোনো ধরণের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বা ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াই তাদের জমিতে নদীর খননের মাটি ফেলে গাছ রোপণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা বন কর্মকর্তা পুনরায় গাছ রোপণ করতে গেলে জমির মালিকদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।
আবেদনে তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে ফেলা মাটি ও লাগানো গাছ অপসারণ করে জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাসুদুল হাসান বলেন, ‘বন বিভাগের এমন আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কোনোভাবেই ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করা যায় না। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি। জমিটি সোহেল রানা, ফারুখ হোসেন, নজিরুদ্দীন, গোলাম মোস্তফা ও জাহাঙ্গীরদের বৈধ মালিকানাধীন। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জমির মালিকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’
অন্যদিকে উপজেলা বন কর্মকর্তা ফেরদৌস খান বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশক্রমে উক্ত জায়গায় গাছ লাগিয়েছি। তিনি বলেন, গাছ লাগানোর জায়গাটি সরকারি জমি এবং কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নয়।’
সবুজদেশ/এসএএস
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি- 



















