ছাত্রদলের কাউন্সিল: আপিলেও বাতিল হয়েছে ৭ সভাপতি প্রার্থী
ঢাকাঃ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে প্রার্থিতার শর্ত পূরণে যাচাই-বাছাই কমিটি যাদের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল, তাদের মধ্যে আল মেহেদী তালুকদারসহ সভাপতি পদে যে সাতজন আপিল করেছিলেন, তাদের কারও মনোনয়ন বৈধ হয়নি। ফলে এই সাত প্রার্থী সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে যে নয়জন আপিল করেছিলেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন নিজেদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আপিল কমিটি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে গভীর রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।
সভাপতি পদে যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল, তারা হলেন- আল মেহেদী তালুকদার, আরাফাত বিল্লাহ খান, আসাদুল আলম, আজিম উদ্দিন মেরাজ, এসএএম আমিরুল ইসলাম, জুয়েল মৃধা এবং ফজলুল হক নীরব।
অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে যারা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে বিবেচিত হননি, তারা হলেন- সাদিকুর রহমান, কেএম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, ইমদাদুল হক মজুমদার ও মোহাম্মদ জামিল হোসেন। তবে আপিল কমিটির কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই পাঁচজন নিজেদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এর বাইরে সভাপতি পদে মামুন খান, সাধারণ সম্পাদক পদে জুয়েল হাওলাদারের প্রার্থিতা আপিল কমিটি অনুমোদন করেনি। বিধায় তাদের প্রার্থিতা আর বহাল নেই। এছাড়াও মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সাধারণ সম্পাদকের পদে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত বহাল রেখে অনুমোদিত হয়নি।
আপিল কমিটির আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু ও ড. আসাদুজ্জামান রিপন জানান, প্রতিটি বিষয়ে সৃষ্ঠু বিচার-বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের আবেদন বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তারা বলেন, প্রার্থীদের যোগ্যতার বিচারে নীতিমালার ভিত্তিতে ছাত্রত্ব-বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে এমনকি অন্যান্য প্রসঙ্গে বিশ্লেষণের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন থাকলেও তা একদিন বাড়িয়ে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হবে। ওইদিন সারাদেশ থেকে আগত ৫৮০ জন কাউন্সিলর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য তাদের ভোট দেবেন।
গত ২০ আগস্ট মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দুই পদে মোট ৭৬টি ফরম জমা পড়ে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
২১ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ২৭ আগস্ট খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৮ আগস্ট প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ করা হয়। ২৯ ও ৩০ আগস্ট আপিল নিষ্পত্তি করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩১ আগস্ট থাকলেও ০১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের প্রচারণা সময় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।