কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে সুমন ও তার তিন সহযোগীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের জাফর আলীর ছেলে রমজান আলী, তালেব হোসেনের ছেলে মো. অনিক ও মো. আরিফ।
এদের চারজনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রোববার (২৯ জুন) বিকেলে মুরানগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক একটি মামলা করেন। এরআগে শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে একই থানায় ধর্ষণ মামলা করেন তিনি।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন তার তিন সহযোগী। পরে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফজর আলীর সঙ্গে দুই সন্তানের জননী ওই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তার স্বামী একজন প্রবাসী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে ফজর আলী ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এসময় অতি উৎসাহী কয়েকজন যুবক ওই নারী ও ফজর আলীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার বিকেলে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর অভিযানে নেমে রাজধানীসহ জেলার স্থান থেকে প্রধান অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।