ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের জমি দখল ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ
খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু ও তার পিতা হযরত আলী সরদারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল এবং তাদেরকে মারপিট ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও হিন্দু মহিলাদেরকে মারধোরেরও অভিযোগ তুলেছেন ৬ নং কয়রা গ্রামের চপল রপ্তান। মারপিটে গুরুতর জখম হয়ে একজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে চপল রপ্তান উল্লেখ করেন, প্রায় ১০ বছর ধরেই তাদের তিন বিঘা জমি জোর করে দখলে নিয়ে মাছ চাষ করছে টিংকুর পিতা হযরত আলী সরদার। এ বাবদ তারা কোন হারি প্রদান করেননি। এ বছরের শুরুতে ওই জমিতে নিজেরা মাচ চাষ করতে চাইলে টিংকু নানাভাবে ভয়ভীতি ও হয়রাণি করে আসছিলেন। গত সোমবার সকালে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে জমিতে রাস্তা দিতে গেলে টিংকুর পিতা কাজে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তবে তারা কাজ অব্যহত রাখলে হযরত আলী তার ছেলে টিংকুকে ডাক দেয়। টিংকু ৪/৫টি মটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে চপল রপ্তানের ভাবি ময়না রপ্তানকে বেধড়ক মারপিট করে। ময়না রপ্তানের মেয়ে সুমি মোবাইলে এ ঘটনা ভিডিও করলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা টিংকুকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে টিংকু, হযরত আলী, সলেমান মোল্লা, বাবু সরদার, খোকন, জুবায়ের আব্দুল্লাহসহ ১৫/১৬ জন তাদের ওপর চড়াও হয়। এসময় টিংকুর হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে চপল রপ্তানের বড় ভাই ব্রোজেন রপ্তানের মাথায় কোপ মারে। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ব্রোজেন। পরবর্তিতে চপলের বড় ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলেও তাদেরকে গ্রাম থেকে বের হওয়ার পথে পাহারা বসায় টিংকু। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিলে তারা গুরুতর আহত ব্রোজেনকে নিয়ে প্রথমে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তিতে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগের দিন সন্ধ্যায় টিংকুর দুলাভাই ছাত্রদলের উপজেলা আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ কাজল তাদেরকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, টিংকুর পুরো পরিবার বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকেও সে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে। আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেও সেই সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াতের লোকজনের হাতে মার খেতে হচ্ছে। আমাদের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমাদের স্ত্রী-মেয়েদের শ্লীলতাহানী ঘটাচ্ছে। তাহলে আমরা বিচার চাইব কার কাছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার দাবি করেন।