ছেলে হত্যার ৯ বছর পর খুন হলেন ওই মামলার বাদী বাবা আব্দুল হালিম (৬২)। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শেরপুরে শহরের অস্টমীতলা মৃগী নদীর তীর থেকে স মিল শ্রমিক আব্দুল হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আব্দুল হালিম শহরের পূর্বশেরি মহল্লার মৃত শহর আলীর ছেলে। এ দিকে ২০০৯ সালের ১ মে একই স্থান থেকে নিহতের ছেলে আব্দুল আজিজের লাশ উদ্ধার হয়েছিলো। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সদর সার্কেল মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে আব্দুল হালিম কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ী ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখোঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার সকালে মৃগী নদী ধারে মাঠে কাজ করতে আসা একদল কৃষক আব্দুল হালিমের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেয়। স্বজনরা মরদেহ সনাক্ত করে পুলিশকে খবর জানালে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এটি একটি খুনের ঘটনা। শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীর ধারে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় ৯ বছর আগে নিহতের ছেলেকেও একইভাবে হত্যা করে নদীর ধারে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। জমিজমা এবং মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here