ঢাকাঃ

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সরকারি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সরকারি এ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে দেখতে যান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তাকে দেখে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলেছি। এখন তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে তার প্রেশারটা আপ-ডাউন করছে। যদিও সাক্ষাৎকারে তার প্রেশার ৮০/১২০ এর মধ্যে ছিল।

ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন কথা বলতে পারছেন তিনি। তবে তার মাথার বাঁ দিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডান পাশের কিছু অংশ প্যারালাইজড অবস্থায় আছে। সব প্যারামিটার যখন ভালো হবে, তার প্রেশারটা যখন নরমাল স্টে করলে আশা করা যায়, আজ রাত ৯টায় তার অপারেশন হবে।

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নিতে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে যান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

হাসপাতালে সাক্ষাৎ ও খোঁজখবর নেয়ার পর তিনি বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার মাথার কিছু অংশ ব্রেনের উপরে প্রেশার তৈরি করেছে, সেটা অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা গেলে অবস্থার উন্নতি হবে বলে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রধান দীন মোহাম্মদসহ ভালো চিকিৎসক যারা রয়েছেন, তারা অত্যন্ত বিচক্ষণ ও সুনামের অধিকারী চিকিৎসক। তারা সবাই এখানে ওয়াহিদার চিকিৎসায় সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর সাহেব থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- ভালো ট্রিটমেন্টের যেন নিশ্চিত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সেজন্য আমরা আশা করছি, সবকিছু যদি ভালো থাকে তাহলে আজ রাত ৯টায় তার অপারেশন হবে এবং অপারেশনের পর তার ইমপ্রুভমেন্ট হবে।

এর আগে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

এ সময় তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here