ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমে উঠেছে ঝিনাইদহের নলেন গুড়ের বাজার

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

জমে উঠেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের খেজুর গুড়ের বাজার। এখানকার খেজুর গুড় যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও ঝালকাঠীসহ বিভিন্ন জেলাতে। পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় বাজার এখন সরগরম।

৪৭ বছর ধরে গুড়ের ব্যবসা করছেন দাবি করে কালীগঞ্জের হাটে আসা কুষ্টিয়ার হরিগোবিন্দপুর গ্রামের নিয়ামত আলী জানান,  প্রতিবছর এই সময় সোম ও শুক্রবারের হাটে তিনি গুড় কিনতে আসেন। এবার প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যে ২৮ ঠিলে (মাটির পাতিল) অর্থাৎ ৭ মণ গুড় কিনেছেন। এসব গুড় কুষ্টিয়ার বাজারে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবেন। তবে, এ বছর হাটে গুড় অনেক কম আসছে। শীত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে গাছিরা ঠিকমতো গাছ কেটে ঠিক সময়ে গুড় উৎপাদন করতে পারেননি। যার কারণে হাটে গুড় ও পাটালি কম এসেছে।

বারবাজার থেকে আসা লুৎফর রহমান জানান, তিনি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ মণ ঝোলা গুড় কিনেছেন। এসব গুড় ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। দানা গুড়ের দাম বেশি আর ঝোলা গুড়ের দাম কম। এক ঠিলে দানা গুড় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর ঝোলা গুড় বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করে। কালীগঞ্জের শ্রীরামপুর গ্রামের আলিনুর রহমান জানান, বরিশাল, যশোর, খুলনা, পাইকগাছা, ঝালকাটিসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মহাজনদের কাছে গুড় পাঠান তিনি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রাম থেকে পাটালি বিক্রি করতে আসা খলিল বিশ্বাস জানান, তিনি সরাসরি গৃহস্থদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে পাটালি কিনে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি করছেন। কেজিতে তাদের ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ থাকে।  ভালো মূল্য পাওয়া গেলে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাভ হয়।

কালীগঞ্জ গুড় হাটার ইজারাদার আতিয়ার রহমান জানান, কালীগঞ্জের খেজুর রসের গুড় ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ। এ গুড়ে কাঁচা রসের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের এলাকার গুড়ের অনেক সুনাম রয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:২০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০
১০৪৯ Time View

জমে উঠেছে ঝিনাইদহের নলেন গুড়ের বাজার

আপডেট সময় : ০৭:২০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

জমে উঠেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের খেজুর গুড়ের বাজার। এখানকার খেজুর গুড় যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও ঝালকাঠীসহ বিভিন্ন জেলাতে। পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় বাজার এখন সরগরম।

৪৭ বছর ধরে গুড়ের ব্যবসা করছেন দাবি করে কালীগঞ্জের হাটে আসা কুষ্টিয়ার হরিগোবিন্দপুর গ্রামের নিয়ামত আলী জানান,  প্রতিবছর এই সময় সোম ও শুক্রবারের হাটে তিনি গুড় কিনতে আসেন। এবার প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যে ২৮ ঠিলে (মাটির পাতিল) অর্থাৎ ৭ মণ গুড় কিনেছেন। এসব গুড় কুষ্টিয়ার বাজারে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবেন। তবে, এ বছর হাটে গুড় অনেক কম আসছে। শীত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে গাছিরা ঠিকমতো গাছ কেটে ঠিক সময়ে গুড় উৎপাদন করতে পারেননি। যার কারণে হাটে গুড় ও পাটালি কম এসেছে।

বারবাজার থেকে আসা লুৎফর রহমান জানান, তিনি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ মণ ঝোলা গুড় কিনেছেন। এসব গুড় ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। দানা গুড়ের দাম বেশি আর ঝোলা গুড়ের দাম কম। এক ঠিলে দানা গুড় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর ঝোলা গুড় বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করে। কালীগঞ্জের শ্রীরামপুর গ্রামের আলিনুর রহমান জানান, বরিশাল, যশোর, খুলনা, পাইকগাছা, ঝালকাটিসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মহাজনদের কাছে গুড় পাঠান তিনি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রাম থেকে পাটালি বিক্রি করতে আসা খলিল বিশ্বাস জানান, তিনি সরাসরি গৃহস্থদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে পাটালি কিনে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি করছেন। কেজিতে তাদের ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ থাকে।  ভালো মূল্য পাওয়া গেলে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাভ হয়।

কালীগঞ্জ গুড় হাটার ইজারাদার আতিয়ার রহমান জানান, কালীগঞ্জের খেজুর রসের গুড় ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ। এ গুড়ে কাঁচা রসের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের এলাকার গুড়ের অনেক সুনাম রয়েছে।