আসন্ন জাতীয় বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতেঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও জনসংযোগ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১ জুন) বেলা ১১টায় জেলা শহরের শেরে বাংলা সড়ক এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি ঝিনাইদহ জেলা কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এসময় ক্ষেতমজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি কাজী ফারুকের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন বিপ্লব, যুব ইউনিয়ন জেলা সভাপতি আবু তোয়াব অপু, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জেলা সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিটুল প্রমুখ।
বক্তারা, আসন্ন জাতীয় বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য রেশনিং, পেনশন চালু ও কর্মসৃজন কর্মসূচি, বিধবা ভাতা, টিসিবি, স্বাস্থ্য, সন্তানের শিক্ষা এবং গ্রামীণ প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়ানো, লুটপাট-দুর্নীতি-ভুলনীতির বিরুদ্ধে জনজীবনের সংকট নিরসন, ক্ষেতমজুর-গ্রামীণ মজুর-জেলে-ভূমিহীনদের জন্য খাসজমি বন্দোবস্ত, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন, সারাবছর কাজ, প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলেদের মাছ ধরাসহ ভূমি অধিকার, হাওড়-বাঁওড়-বিল-জলমহাল-বালুমহালে ইজারা পদ্ধতি বাতিল করে সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের আমলে ২৭ লক্ষের বেশি মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। প্রতিবছর লক্ষ কোটি টাকার বাজেট হয় কিন্তু গরিব মানুষের দুঃখ আর যেন ঘুচে না। এবার গরীববান্ধব বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য শোষণ-বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ, সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ আজো হয়নি। বিগত ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও অতীতের মতোই সাধারণ মানুষ বেশি রক্ত দিয়েছে। অথচ তাদেরকেই তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ‘শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ’ কায়েমের লক্ষণ নেই। ধনী-গরীবের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার সংগ্রামকে অগ্রসর করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে শেষে শহরের বিভিন্ন হাট-বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ ও প্রচার সমাবেশ করেন।
সবুজদেশ/এসইউ