ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরের ‘ছায়া ডিসি’ কে এই সাধনা?

Reporter Name

জামালপুরঃ

সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার জন্ম জামালপুর শহরের পাথালিয়া গ্রামে। মা ফেলানী বেগম। বাবা অহিজুদ্দিন। তার পেশা ছিল ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল আনা-নেয়া। সাধনার জন্মের সময় অহিজুদ্দিনের ঘরে দেখা দেয় অভাব। অভাবের তাড়নায় সাধনার বয়স যখন সাত দিন, তখন দত্তক দেন মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের সুখনগরী গ্রামের নিঃসন্তান খাজু মিয়া ও নাছিমা আক্তার দম্পতির কাছে।

তাদের লালন-পালনে বেড়ে ওঠা সাধনার লেখাপড়া চলাকালীন বিয়ে হয় একই উপজেলার জোনাইল গ্রামের বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী জাহিদুল ইসলামের সাথে। তাদের ঘরে পূর্ণ নামে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

২০০৯ সালে আকস্মিকভাবে মারা যান তার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পরে তার পালক বাবা-মায়ের সাথে জামালপুর শহরের বগাবাইদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাধনা। তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন ও বাড়তি স্বাধীনতার কারণে টিকেনি সে বিয়ে।

দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর সাধনা ঘরেই দোকান দিয়ে বিক্রি করতেন দেশি-বিদেশি প্রসাধনী। সেই ব্যবসাতেও টিকতে না পেরে শুরু করে হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নিয়েই ডিসি আহমেদ কবীরের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯
৬৫৬ Time View

জামালপুরের ‘ছায়া ডিসি’ কে এই সাধনা?

আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯

জামালপুরঃ

সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার জন্ম জামালপুর শহরের পাথালিয়া গ্রামে। মা ফেলানী বেগম। বাবা অহিজুদ্দিন। তার পেশা ছিল ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল আনা-নেয়া। সাধনার জন্মের সময় অহিজুদ্দিনের ঘরে দেখা দেয় অভাব। অভাবের তাড়নায় সাধনার বয়স যখন সাত দিন, তখন দত্তক দেন মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের সুখনগরী গ্রামের নিঃসন্তান খাজু মিয়া ও নাছিমা আক্তার দম্পতির কাছে।

তাদের লালন-পালনে বেড়ে ওঠা সাধনার লেখাপড়া চলাকালীন বিয়ে হয় একই উপজেলার জোনাইল গ্রামের বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী জাহিদুল ইসলামের সাথে। তাদের ঘরে পূর্ণ নামে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

২০০৯ সালে আকস্মিকভাবে মারা যান তার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পরে তার পালক বাবা-মায়ের সাথে জামালপুর শহরের বগাবাইদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাধনা। তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন ও বাড়তি স্বাধীনতার কারণে টিকেনি সে বিয়ে।

দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর সাধনা ঘরেই দোকান দিয়ে বিক্রি করতেন দেশি-বিদেশি প্রসাধনী। সেই ব্যবসাতেও টিকতে না পেরে শুরু করে হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নিয়েই ডিসি আহমেদ কবীরের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।