ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে।  বহিষ্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের (তৃতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।  

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। আদেশে বলা হয়, ৯ জানুয়ারি ভার্চুয়ালের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের এক বিশেষ সভায় ওই ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের তামীম হোসেন ও রিজওয়ান রাশেদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছালাউদ্দিন ইউসুফ ও রোজেন নূর, বাংলা বিভাগের শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, চারুকলা বিভাগের আকাশ হোসেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়জুল ইসলাম এবং ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার হোসেন। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলের শিক্ষার্থী হয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।

তাদের মধ্যে মো. শিহাবকে দুই বছর আর বাকি ১০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের নির্ধারিত সময়ে এসব শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল বা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না বলে আদেশে জানানো হয়েছে। এছাড়া বহিষ্কারাদেশ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হল ছেড়ে বরাদ্দকৃত হলে ওঠারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গণরুমে যান বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাসহ দ্বিতীয় বর্ষের একদল শিক্ষার্থী। র‌্যাগ দেওয়ার একপর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আলমকে ডেকে নিয়ে তার পরিচয় জানতে চান তারা। এ সময় ফয়সাল উচ্চস্বরে হলের নাম বলতে না পারায় তাকে বিভিন্ন রকমের শারীরিক কসরত করতে বলা হয়।  ফয়সাল রাজি না হলে তার ডান গালে থাপ্পড় দিতে থাকেন শিহাব। এতে ফয়সাল মাটিতে পড়ে যান এবং তার কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরপর দুটি থাপ্পড়ে ফয়সাল বাকরুদ্ধ হয়ে যান। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ফয়সালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
৪৪৩ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

আপডেট সময় : ০৯:৪২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে।  বহিষ্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের (তৃতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।  

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। আদেশে বলা হয়, ৯ জানুয়ারি ভার্চুয়ালের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের এক বিশেষ সভায় ওই ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের তামীম হোসেন ও রিজওয়ান রাশেদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছালাউদ্দিন ইউসুফ ও রোজেন নূর, বাংলা বিভাগের শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, চারুকলা বিভাগের আকাশ হোসেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়জুল ইসলাম এবং ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার হোসেন। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলের শিক্ষার্থী হয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।

তাদের মধ্যে মো. শিহাবকে দুই বছর আর বাকি ১০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের নির্ধারিত সময়ে এসব শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল বা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না বলে আদেশে জানানো হয়েছে। এছাড়া বহিষ্কারাদেশ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হল ছেড়ে বরাদ্দকৃত হলে ওঠারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গণরুমে যান বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাসহ দ্বিতীয় বর্ষের একদল শিক্ষার্থী। র‌্যাগ দেওয়ার একপর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আলমকে ডেকে নিয়ে তার পরিচয় জানতে চান তারা। এ সময় ফয়সাল উচ্চস্বরে হলের নাম বলতে না পারায় তাকে বিভিন্ন রকমের শারীরিক কসরত করতে বলা হয়।  ফয়সাল রাজি না হলে তার ডান গালে থাপ্পড় দিতে থাকেন শিহাব। এতে ফয়সাল মাটিতে পড়ে যান এবং তার কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরপর দুটি থাপ্পড়ে ফয়সাল বাকরুদ্ধ হয়ে যান। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ফয়সালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।