সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতেই পরিকল্পিতভাবে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। এমনকি খুনিদের পুরস্কৃতও করা হয়েছিল। সবকিছুই হয়েছে জিয়াউর রহমানের সরাসরি দিকনির্দেশনায়।
মেনন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা হত্যার আগে জিয়ার কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছিল, জিয়া তাদের গ্রেপ্তার তো করেইনি, বরং তাদের বলেছে, “তোমরা যা ভালো মনে করো করতে পারো।” জিয়ার এই গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই তারা ইতিহাসের নিকৃষ্টতর বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২১ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কথাগুলো বলেন রাশেদ খান মেনন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা আজও সক্রিয় আছে, এ দাবি করে মেনন আরও বলেন, ১৯৭৫-এর এই দিন প্রত্যুষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যার বিচার হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের স্বরূপ আজও উন্মোচিত হয়নি। সেই দিনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের পুরোনো দিনগুলোতে।
মেনন বলেন, ‘আজ যদিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশের ক্ষমতায়, তারপরও সেই ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি। বিএনপি-জামায়াতের মৌলবাদীরা এই দিনে এখনো উল্লাস করে। মরিয়া চেষ্টা করছে যাতে তারা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। আজ তাই এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করে দেশকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিতে হবে।’
পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী মেনন দুপুর পর্যন্ত তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৮ আসনের ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কাঙালিভোজ ও শোকসভায় ঘুরে ঘুরে অংশ নেন।
এ সময় আলোচনা সভাগুলোতে রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল হামিদ খান, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা অন্যান্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি