ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগর সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশির লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ

Reporter Name

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রাজাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নাজিম উদ্দীন (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার মধ্যরাতে সীমান্তের ৭৪ নং পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভারতের গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা নাজিমের লাশ নিয়ে যায়।

নাজিম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৩টার দিকে নাজিমসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী সীমান্তে গরু আনতে যান। এ সময় তারা বাংলাদেশি রাজাপুর সীমান্তের ৭৪ নং মেইন পিলারের কাছাকাছি পৌঁছলে গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করে।

বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে সহযোগীরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গুলিতে নাজিমের মুত্যু হয়। পরে তার লাশ টেনে-হিঁচড়ে গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের অদূরে ১ নং গেটের কাছে ফেলে রাখে জওয়ানরা।

নিহতের ভাই রতন আলী জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গরু আনবে বলে নাজিম বের হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পারি, বিএসএফ তাকে হত্যা করে লাশ নিয়ে গেছে।

এ খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা এখন সন্তানের লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন।

জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের বাসিন্দা আনু হালদার জানান, তিনি বেলা ১১টার দিকে ভারতের গেদে আমবাগান বিএসএফ ক্যাম্পের অদূরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।

ঝিনাইদহ খালিশপুর-৫৮ বিজিরি পরিচালক কামরুল হাসান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর জেনেছি। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৫৩৮ Time View

জীবননগর সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশির লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রাজাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নাজিম উদ্দীন (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার মধ্যরাতে সীমান্তের ৭৪ নং পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভারতের গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা নাজিমের লাশ নিয়ে যায়।

নাজিম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৩টার দিকে নাজিমসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী সীমান্তে গরু আনতে যান। এ সময় তারা বাংলাদেশি রাজাপুর সীমান্তের ৭৪ নং মেইন পিলারের কাছাকাছি পৌঁছলে গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করে।

বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে সহযোগীরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গুলিতে নাজিমের মুত্যু হয়। পরে তার লাশ টেনে-হিঁচড়ে গেদে আমতলা বিএসএফ ক্যাম্পের অদূরে ১ নং গেটের কাছে ফেলে রাখে জওয়ানরা।

নিহতের ভাই রতন আলী জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গরু আনবে বলে নাজিম বের হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পারি, বিএসএফ তাকে হত্যা করে লাশ নিয়ে গেছে।

এ খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা এখন সন্তানের লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন।

জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের বাসিন্দা আনু হালদার জানান, তিনি বেলা ১১টার দিকে ভারতের গেদে আমবাগান বিএসএফ ক্যাম্পের অদূরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।

ঝিনাইদহ খালিশপুর-৫৮ বিজিরি পরিচালক কামরুল হাসান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর জেনেছি। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হয়েছে।