ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১২:০২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে।

 

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে, আর প্রয়োজনে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনায় জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও উপস্থিত ছিলেন।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। ১৯৯০ সালের গণ-আন্দোলনের পর দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সময়মতো বাস্তবায়ন হয়নি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমে তা সংবিধানে যুক্ত হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে বিচারপতি খায়রুল হকের প্রভাবিত রায়ের মাধ্যমে। জামায়াত মনে করে, বিচার বিভাগকে বিতর্কের মুখে না ফেলে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।

হামিদুর রহমান আযাদ জানান, ঐকমত্য কমিশনের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি চারটি বিকল্প প্রস্তাব করেছে, যার মধ্যে সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটিই সবচেয়ে শক্তিশালী। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মত দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষমতা সংসদের নেই। এ জন্য গণভোট প্রয়োজন। জনগণের ইচ্ছাই দেশের সর্বোচ্চ আইন।

ডাকসু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণকে উদাহরণ হিসেবে টেনে তিনি বলেন, তরুণ সমাজ এখন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গেই তারা একাত্ম।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত

Update Time : ১২:০২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে, আর প্রয়োজনে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনায় জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও উপস্থিত ছিলেন।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। ১৯৯০ সালের গণ-আন্দোলনের পর দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সময়মতো বাস্তবায়ন হয়নি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমে তা সংবিধানে যুক্ত হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে বিচারপতি খায়রুল হকের প্রভাবিত রায়ের মাধ্যমে। জামায়াত মনে করে, বিচার বিভাগকে বিতর্কের মুখে না ফেলে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।

হামিদুর রহমান আযাদ জানান, ঐকমত্য কমিশনের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি চারটি বিকল্প প্রস্তাব করেছে, যার মধ্যে সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটিই সবচেয়ে শক্তিশালী। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মত দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষমতা সংসদের নেই। এ জন্য গণভোট প্রয়োজন। জনগণের ইচ্ছাই দেশের সর্বোচ্চ আইন।

ডাকসু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণকে উদাহরণ হিসেবে টেনে তিনি বলেন, তরুণ সমাজ এখন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গেই তারা একাত্ম।

সবুজদেশ/এসএএস