ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেএসসি পরীক্ষা: পিতার কষ্টের টাকা বিফলে যেতে দেয়নি রিয়াদ

Reporter Name

যশোরঃ

দারিদ্র্যতার কাছে হার মানেনি এম এস ছাব্বির (রিয়াদ)। অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে এ শিক্ষার্থী রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অসচ্ছল সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতা ওয়াদুদ’র কলা বিক্রির কষ্টের টাকা বিফলে যেতে দেয়নি রিয়াদ। নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করে পড়াশুনা করে জিপিএ-৫ পেয়েছে রিয়াদ।

রিয়াদ যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকার ওয়াদুদ হোসেন ও হোসনে আরা দম্পতির ছেলে। সে এবার যশোর জিলা স্কুল থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টেফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয়। রিয়াদ লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে চাই।

রিয়াদের পিতা ওয়াদুদ হোসেন জানান, অসচ্ছল পরিবারে কলা বিক্রি করে তার সংসার চলে। শত কষ্ট ও বাঁধা পেরিয়ে তাকে পড়াশুনা করাচ্ছি। অনেকবার তাকে পড়াশুনা না করে কাজ করার কথা বলেছি। তারপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে আজ এ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাকে আরো অনেক দূর যেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তার কষ্টের সংসারে বড় হয়ে একদিন সে সংসারের হাল ধরবে। এতেই আমার কষ্টের সার্থকতা খুঁজে পাবো। তার ফলাফলে আমরা সবাই খুশি। রিয়াদের প্রতি তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের দারুণ সহযোগিতা ছিল। সে অনেক দূর যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

রিয়াদের প্রধান শিক্ষক এ কে এম গোলাম আজম জানান, রিয়াদ হাজারো কষ্ট করে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করে পড়াশুনা করে জিপিএ-৫ পেয়েছে রিয়াদ। তার ফল অনেক শিক্ষার্থীর অনুপেরণা হয়ে থাকবে ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
১৭৪৩ Time View

জেএসসি পরীক্ষা: পিতার কষ্টের টাকা বিফলে যেতে দেয়নি রিয়াদ

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

যশোরঃ

দারিদ্র্যতার কাছে হার মানেনি এম এস ছাব্বির (রিয়াদ)। অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে এ শিক্ষার্থী রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অসচ্ছল সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতা ওয়াদুদ’র কলা বিক্রির কষ্টের টাকা বিফলে যেতে দেয়নি রিয়াদ। নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করে পড়াশুনা করে জিপিএ-৫ পেয়েছে রিয়াদ।

রিয়াদ যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকার ওয়াদুদ হোসেন ও হোসনে আরা দম্পতির ছেলে। সে এবার যশোর জিলা স্কুল থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টেফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয়। রিয়াদ লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে চাই।

রিয়াদের পিতা ওয়াদুদ হোসেন জানান, অসচ্ছল পরিবারে কলা বিক্রি করে তার সংসার চলে। শত কষ্ট ও বাঁধা পেরিয়ে তাকে পড়াশুনা করাচ্ছি। অনেকবার তাকে পড়াশুনা না করে কাজ করার কথা বলেছি। তারপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে আজ এ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাকে আরো অনেক দূর যেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তার কষ্টের সংসারে বড় হয়ে একদিন সে সংসারের হাল ধরবে। এতেই আমার কষ্টের সার্থকতা খুঁজে পাবো। তার ফলাফলে আমরা সবাই খুশি। রিয়াদের প্রতি তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের দারুণ সহযোগিতা ছিল। সে অনেক দূর যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

রিয়াদের প্রধান শিক্ষক এ কে এম গোলাম আজম জানান, রিয়াদ হাজারো কষ্ট করে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করে পড়াশুনা করে জিপিএ-৫ পেয়েছে রিয়াদ। তার ফল অনেক শিক্ষার্থীর অনুপেরণা হয়ে থাকবে ।