জ্বরে আক্রান্ত দিনমজুরকে ঘর থেকে বের করে দিল স্ত্রী
বগুড়াঃ
বগুড়ায় জ্বরে আক্রান্ত ঢাকা ফেরত এক দিনমজুরকে ঘর থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন তার স্ত্রী।
সোমবার বিকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কেশরতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোজাম্মেল হকের ছেলে কাবিল উদ্দিন ঢাকা থেকে শরীরে জ্বর নিয়ে ট্রাকে সোমবার সকালে বাড়িতে আসেন। জ্বরের কথা জানতে পেরে স্ত্রী তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে করোনাভাইরাস সন্দেহে পুরো গ্রামে হৈ চৈ শুরু হয়।
আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানতে পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ানকে অবহিত করেন। দুপুরে মেডিকেল টিম নিয়ে ডা. দেওয়ান ওই গ্রামে যান। দিনমজুর কাবিল উদ্দিনকে ১৪ দিনে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। তাদের বাড়িতে একটি অতিরিক্ত টয়লেট স্থাপন করে দেয়া হয়েছে।
দুবাই দুইজন স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট না করায় তাদের পরিবারকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কেশরতা গ্রামে ঢাকা ও দুবাইফেরত তিন ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তাদের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আদমদীঘির কেশরতা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলী ২২ দিন আগে প্রায় দু’বছর পর দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। ঢাকা থেকে ফরিদপুর হয়ে গত ২০ মার্চ তিনি বাড়িতে আসেন। একইদিন বয়েজ উদ্দিনের ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসানও বাড়িতে ফেরেন।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, দুবাই ও ঢাকা ফেরত তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিবারকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন করেছেন। তিন বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই।
তিনি জানান, এদের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত দিনমজুর কাবিল উদ্দিনের বাড়িতে একটি অতিরিক্ত টয়লেট স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা তিন পরিবারকে ১৪ দিনের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন।