ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বর হলেই করোনা পরীক্ষা করতে হবে : প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • ৩০৯ বার পড়া হয়েছে।

মেহেরপুরঃ

অসচেতনতার ফলে করোনায় ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। তাই কারও জ্বর হলেই তাকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে মেহেরপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।

জেলার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনছুর আলম খান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মৌসুমি জ্বর মনে করে অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আবার করোনা ভাইরাস হলে কী হবে না হবে এমন অসচেতনতা থেকেও অনেকে বিষয়টি লুকিয়ে রাখছেন। পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে করোনা এমনভাবে ইফেক্ট করেছে যে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। তাই গ্রামে ও পাড়ায় খোঁজ নিয়ে যাদের জ্বর হচ্ছে তাদের অবশ্যই টেস্টের আওতায় আনতে হবে।’

এ লক্ষ্যে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি।

লকডাউন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদের যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। নেতৃস্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ছাড়া সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফান্ড দেয়া হয়েছে। সেটা যথাযথভাবে যাদের প্রাপ্য তাদের দিতে হবে। কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার আগেই ত্রাণ সহযোগিতা সম্পন্ন করতে হবে।’

মানুষকে ঘরে রাখতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে ঘর থেকে যাতে কেউ বের হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের যানবাহন পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :

জ্বর হলেই করোনা পরীক্ষা করতে হবে : প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ

Update Time : ০৮:১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

মেহেরপুরঃ

অসচেতনতার ফলে করোনায় ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। তাই কারও জ্বর হলেই তাকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে মেহেরপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।

জেলার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনছুর আলম খান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মৌসুমি জ্বর মনে করে অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আবার করোনা ভাইরাস হলে কী হবে না হবে এমন অসচেতনতা থেকেও অনেকে বিষয়টি লুকিয়ে রাখছেন। পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে করোনা এমনভাবে ইফেক্ট করেছে যে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। তাই গ্রামে ও পাড়ায় খোঁজ নিয়ে যাদের জ্বর হচ্ছে তাদের অবশ্যই টেস্টের আওতায় আনতে হবে।’

এ লক্ষ্যে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি।

লকডাউন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদের যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। নেতৃস্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ছাড়া সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফান্ড দেয়া হয়েছে। সেটা যথাযথভাবে যাদের প্রাপ্য তাদের দিতে হবে। কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার আগেই ত্রাণ সহযোগিতা সম্পন্ন করতে হবে।’

মানুষকে ঘরে রাখতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে ঘর থেকে যাতে কেউ বের হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের যানবাহন পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সবুজদেশ/এসইউ