জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভন্ড কবিরাজ এহসান (৩৮) এর বিরুদ্ধে। সে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা বলুহর ইউনিয়নের পারলাট গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ও নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক।
ভুক্তভোগী রওশন আলী বলেন, আমার মেয়ে প্রিয়ার পাশের মুরুটিয়া গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের কিছুদিন পর মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দোষারোপ করে ঘাড়ে জ্বীনের আছর আছে। সে মোতাবেক ওই সময় মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি জ্বীন তাড়াতে পারলাট গ্রামের এহসান কবিরাজের কাছে যান। চুক্তি হয় জ্বীন তাড়ানোর। যতবার নিয়ে যাওয়া হবে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে কবিরাজকে।
তিনি আরো বলেন, আমি সেই সময় থেকে মেয়ের সংসার টিকাতে ১০ বার ওই কবিরাজ বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রতি বার ১০ হাজার টাকা করে মোট ১লাখ টাকা দিয়েছি । তারপরও সংসার টেকেনি আমার মেয়ে প্রিয়ার। গত ৬ মাস হল তারা আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এরপরও আমি সরল বিশ্বাসে ওই কবিরাজের কাছে যায় মেয়েকে চিকিৎসা করাতে। এরপর যখন জানতে পারলাম সে ভন্ড কবিরাজ। সে ভন্ডামি করে অনেকের কাছ থেকে এমন অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তখন আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য আমার যা কিছু ছিল বিক্রি করে তাকে দিয়েছি। মঙ্গলবার ওই টাকা ফেরত চেয়ে ও ভন্ড কবিরাজের বিচারের দাবীতে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ভন্ড কবিরাজ এহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন তার স্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি বাড়িতে নাই। ফোন রেখে গেছেন। কি সমস্যা আমাকে বলেন। হুজুর আসলে আমি ওনাকে বলবো।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর সবুজদেশ নিউজকে বলেন, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটা অভিযোগ করেছেন। রোগী অসুস্থ থাকায় তাকে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে বলেছি। আর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলামের মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।