ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাঠের মধ্যে আখক্ষেতে পড়ে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র
সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোটচাঁদপুর সড়কে পাতবিলা মাঠের মধ্যে একটি আখ ক্ষেতের ভিতরে পড়ে রয়েছে কয়েকটি ড্রাইভিং লাইসেন্স জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। গত কয়েক দিন ধরে মাঠের মধ্যে রোদ বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে এই জনগুরুত্বপূর্ণ এই কাগজগুলো। তবে তা উদ্ধারের জন্য কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালেও তারা কর্ণপাত করছে না।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের লাউতলা ও চারমাইল মাঠের মধ্যে ডাকাতি সংঘঠিত হয়। এসময় ডাকাতরা দু’টি যাত্রীবাহি বাস, একটি প্রাইভেট ও একটি মুরগীর বাচ্চাবাহি গাড়ি থেকে মোবাইল, স্বর্ণাংকার, নগদ টাকা ও কাগজপত্র লুট করে। ধারনা করা হচ্ছে ওই রাতে ডাকাতরা মোবাইল, স্বর্ণাংকার ও নগদ টাকার সাথে কেড়ে নেওয়া কাগজপত্র ফেলে গেছে।
ঘটনার রাতে গাড়ির যাত্রী ও চালকরা অভিযোগ করেন কালীগঞ্জ থানার পুলিশের সহযোগীতায় ডাকাতরা তাদের সব কেড়ে নিয়ে গেছে। তাদের অভিযোগ রাতে লাউতলা ও চারমাইল নামক স্থানের মাঝামাঝি মাঠের মধ্যে ডাকাতরা গাছ ফেলে পথ আটকে দেয়। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি বাসের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাহজপত্রসহ টাকা ও স্বর্ণালংঙ্কার কেড়ে নেয়।
যাত্রীদের অভিযোগ ঘটনার সময় সড়কে থাকা টহল পুলিশকে খবর দিলেও তারা যাত্রীদের সহযোগীতা করেনি। তবে, ডাকাতরা সবকিছু লুটে নির্বিঘ চলে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ পরিষ্কার করার কাজে সহযোগীতা করে।
স্থানীয়দের ধারনা করা হচ্ছে ডাকাতদলের সদস্যরা ওই রাতে লুটকৃত সম্পদ ভাগাভাগির পর মাঠের মধ্যে আখবাগানে এই কাগজগুলো ফেলে যায়।
ডাকাতের কবলে পড়ে সবকিছু হানারোদের একজন ট্রাক চালক সোহাগ। যিনি কাজি ফার্মের মুরগীর বাচ্চা বহন করা গাড়ির চালান। তার গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ই ১১-৪২৯৬। ট্রাক চালক সোহাগ জানান, আমি গোপালপুর থেকে মুরগীর বাচ্চা নিয়ে কোটচাঁদপুরে যচ্ছিলাম। পথে ডাকাতরা গাছ ফেলে আমার পথ রোধ করে। ডাকাতরা গলাই ধারালো দা দেখিয়ে আমার এবং আমার হেলপারকে জিম্মি করে। এসময় আমাদের কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ ৮ হাজার টাকা ও গাড়ির কাগজ আমার লাইসেন্স ছিনিয়ে নেয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আতিকুর রহমান সে সময় জানিয়েছিলেন, ডাকাতির কোন ঘটনা জানা নেই, তবে রাতে ওই সড়কে দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশে কর্তকর্তার সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।
ঘটনার রাতে ওই সড়কে দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই অমিত জানিয়েছিলেন, ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করছিল কিন্তু আমাদের তৎপরতায় তারা ব্যর্থ হয়।