ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্কুল ও মসজিদে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দিলো জমির মালিক ভোগান্তিতে গ্রামবাসী, ও শিক্ষার্থীরা
সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের মেগুর খির্দ্দা গ্রামে দীর্ঘদিনের যাতায়াতের রাস্তাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনবসতিপূর্ণ এ গ্রামে একটি মসজিদ ও একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়ে পাশের হার শতভাগ হওয়া সত্বেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে সহজে যাওয়ার রাস্তটি বন্ধ করে দিল জমির মালিক মোল্লা পরিবার। সরকারি রাস্তাদিয়ে যেতে হলে মুসল্লি ও কোমলমতি শিশুদের প্রায় এক কিঃমিঃ পথ ঘুরে যেতে হয়। তাছাড়া এই সহজ রাস্তা দিয়েই এ যাবৎকাল ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাওয়া আসা করতো । একই গ্রামের মোল্লা পরিবার ও বিশ্বাস পরিবারের মাঝে অস্তঃদ্বন্দ্বের কারণে স্কুল ও মসজিদে যাওয়ার সহজ রাস্তাটির ৩/৪ টি স্থানে বাশেঁর বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে মোল্লা পরিবারের লোকজন। রবিবার সকালে সরেজমিনে যেয়ে কথা হয় ঐ গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মুকুল মোল্লা সাথে তিনি জানান, স্কুলের দক্ষিন ও পূর্ব পাশের জমি আমাদের মোল্লা পরিবারের। আমি প্রথমে নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বাস পরিবারের সাথে আলাপ করে স্কুল ও মসজিদে যাওয়ার সহজ রাস্তাটি বের করি। এখন বিশ্বাস পরিবার আমার পরিবারের নামে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষা ব্যবহার ও আমাদের জমিতে রোপন করা গাছের চারা উপড়ে ফেলার কারনে আমরা আর এই রাস্তার জন্য এক ফোটা জমি দিতে রাজি না এ জন্য আমাদের জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। কথা হয় বিশ্বাস পরিবারের মৃত আহম্মেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে জয়নুদ্দিন বিশ্বাসের সাথে তিনি জানান, আমাদের এই স্থানে পানের বরজ ছিল উভয় পরিবারের সমঝোতায় ক্ষতি পূরন দিয়ে বরজের ক্ষেত উঠিয়ে রাস্তা তৈরী করা হয়। এই রাস্তা বের করার পর বিভিন্ন কারনে একাধিক বার মোল্লা পরিবারের লোকজন বন্ধ করে দেয় আবার খুলেও দেয়। বর্তমানে তারা রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছ কিন্তু অনেকদিন হলো, এইবার মনে হচ্ছে বেড়া সরানোর কোন ভাব পাচ্ছিনা। আমরা তাদের পরিবারের নামে কোন বদনাম বা তাদের জমিতে রোপন করা কোন গাছের চারা উপড়ানো হয়নি। তারা রাস্তা না দেওয়ার জন্য মিথ্যাচার করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, আমি শুনেছি মোল্লা পরিবারের লোকজন স্কুল ও মসজিদে যাওয়ার সহজ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়াছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। বিশ্বাস পরিবারের উপর রাগ করে মোল্লা পরিবারের লোকদের উচিৎ হয়নি রাস্তাটি বন্ধ করা। বিশ্বাস পরিবার যদি মোল্লা পরিবারের উপর কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে তারা আমাকে বলতে পারতো আমি নিজে সমাধান করার চেষ্ঠা করতাম। মসজিদ ও স্কুলে যাওয়ার সহজ রাস্তাটি যাতে থাকে আমি সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবো। গ্রামবাসী জানায়, দুই পরিবারের সমঝোতা ছাড়া এই রাস্তা তৈরী করা সম্ভব না। স্কুলে যাওয়ার সহজ রাস্তাটি বন্ধ হওয়ার কারেনে আমাদের শিশুরা স্কুলে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকটা পথ অতিক্রম করে কষ্ট করে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই। বিরাজমান সমস্যার আশু সমাধান না হলে যে কোন মূহুর্তে দুই পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি