ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা

 

ঝিনাইদহে ৪টি আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর প্রচারণায় দলের মধ্যে খানিকটা বিভেদের সৃষ্টি করেছে। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে আজ বিকালে আগ্রহী প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আগ্রহী বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলবেন। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ নেতা ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে মাঠে রয়েছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসদুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) আসনটিতে প্রার্থী রয়েছেন তিনজনের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। যারা ইতিমধ্যে গণসংযোগ করছেন। এরমধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ মজিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক এমপি মশিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম রহমান বাবু।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ করছেন ৫ প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি, ইঞ্জিনিয়ার মমিনুর রহমান ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল।

ঝিনাইদহ-৪ ( কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে প্রার্থী রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মুর্শিদা জামান বেল্টু।

বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত গণমাধ্যমকে জানান, আগ্রহী সব প্রার্থীকে ডাকা হচ্ছে না। দল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কাকে ডাকা হবে। মোট কতজনকে ফোন দেওয়া হয়েছে এটা বলা মুশকিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাল ৫টার পরে আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলবেন। এখানে কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত হবে না। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হতে পারে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

ঝিনাইদহের চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা

Update Time : ১১:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

 

ঝিনাইদহে ৪টি আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর প্রচারণায় দলের মধ্যে খানিকটা বিভেদের সৃষ্টি করেছে। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে আজ বিকালে আগ্রহী প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আগ্রহী বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলবেন। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ নেতা ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে মাঠে রয়েছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসদুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) আসনটিতে প্রার্থী রয়েছেন তিনজনের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। যারা ইতিমধ্যে গণসংযোগ করছেন। এরমধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ মজিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক এমপি মশিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম রহমান বাবু।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ করছেন ৫ প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি, ইঞ্জিনিয়ার মমিনুর রহমান ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল।

ঝিনাইদহ-৪ ( কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে প্রার্থী রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মুর্শিদা জামান বেল্টু।

বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত গণমাধ্যমকে জানান, আগ্রহী সব প্রার্থীকে ডাকা হচ্ছে না। দল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কাকে ডাকা হবে। মোট কতজনকে ফোন দেওয়া হয়েছে এটা বলা মুশকিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাল ৫টার পরে আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলবেন। এখানে কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত হবে না। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হতে পারে।

সবুজদেশ/এসএএস