ঝিনাইদহে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
ঝিনাইদহঃ
করোনা ভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘরবন্দি দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দের সেই ত্রাণ বিতরণ ও সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। আহতদেরকে শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজলার মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলো, ওই গ্রামের আসাদুজ্জামান বকুল, ইকবাল, টিপন মোল্লা, ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, আশরাফুল ইসলাম, শিমু হোসেন, রিপন মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, রেজাউল শেখ, নিশান ও লুৎফরসহ অনন্ত ১৫ জন। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও রাশেদ মিয়া, বাবুল মোল্লা, লাল্টু শেখ ও আরিফ জোয়ার্দ্দারের বাড়ীসহ ৫টি বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোহরপুর ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানায়, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরবন্দি দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার ত্রাণ বরাদ্ধ দিয়ে আসছে। বরাদ্দের ত্রাণ ইউপি চেয়ারম্যান সামাজিক দলীয়করণ করে বিতরণ করে। এ ঘটনায় ফুসে ওঠে ইউনিয়নের হত দরিদ্র পরিবারগুলো। তাদের পরিবারে খাদ্যের অভাব দেখে তারই সমর্থক ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম আসাদুজ্জামান বকুল ৪ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সোমবার সকালে দামুকদিয়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে দলীয়করণ করে ত্রাণ দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দামুকদিয়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।