ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

Reporter Name

ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজেরের (৪৮) বিরুদ্ধে আদালতে এক নারী মেম্বর ধর্ষন মামলা করেছেন। যার মামলা নং এনটিসি পিটিশন ৬৯/২০২০। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার জন্য হরিণাকুন্ডু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলীম আল রাজি।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রয়ারী তাহেরহুদা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মোছা নাছিমা আক্তার মায়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে কাজ করছিলেন। দুপুর গড়িয়ে গেলে মেম্বরসহ পরিষদের কর্মচারীরা একে একে সবাই পরিষদ থেকে চলে যায়। একা পেয়ে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজের নিজ অফিসে মায়াকে ডেকে কু প্রস্তাব দেন।

চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হলে মায়াকে ঘরের মেঝেতে ফেলে জোর পুর্বক ধর্ষন করে মনজের। এ সময় চেয়ারম্যানের সাথে ধস্তাধস্তিতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় বলে মামলার বিররণে মায়া উল্লেখ করেন।

গত ১৯ ফেব্রয়ারী মহিলা মেম্বর মোছা নাছিমা আক্তার মায়া আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শরিফুল ইসলাম, ফজের আলী, মিন্টু মোল্লা, আল আমিনসহ ৬ জনকে সাক্ষি হিসেবে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজেরের সাথে কলা বলার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নং বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে তাহেরহুদা ইউনিয়নের সচিব আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, ঘটনার দিন আমি সারাদিনই পরিষদের ছিলাম। আমার জানামতে এমন কোন ঘটনা সেদিন ঘটেনি। তিনি বলেন চেয়ারম্যানের সাথে ওই নারী মেম্বরের দীর্ঘদিনের বিরোধ। সেই সুত্র ধরে এই মিথ্যা মামলা করা হতে পারে।

এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আমি আদালতের কোন আদেশ শনিবার পর্যন্ত হাতে পায়নি। হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৮৯৫ Time View

ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজেরের (৪৮) বিরুদ্ধে আদালতে এক নারী মেম্বর ধর্ষন মামলা করেছেন। যার মামলা নং এনটিসি পিটিশন ৬৯/২০২০। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার জন্য হরিণাকুন্ডু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলীম আল রাজি।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রয়ারী তাহেরহুদা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মোছা নাছিমা আক্তার মায়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে কাজ করছিলেন। দুপুর গড়িয়ে গেলে মেম্বরসহ পরিষদের কর্মচারীরা একে একে সবাই পরিষদ থেকে চলে যায়। একা পেয়ে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজের নিজ অফিসে মায়াকে ডেকে কু প্রস্তাব দেন।

চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হলে মায়াকে ঘরের মেঝেতে ফেলে জোর পুর্বক ধর্ষন করে মনজের। এ সময় চেয়ারম্যানের সাথে ধস্তাধস্তিতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় বলে মামলার বিররণে মায়া উল্লেখ করেন।

গত ১৯ ফেব্রয়ারী মহিলা মেম্বর মোছা নাছিমা আক্তার মায়া আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শরিফুল ইসলাম, ফজের আলী, মিন্টু মোল্লা, আল আমিনসহ ৬ জনকে সাক্ষি হিসেবে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজেরের সাথে কলা বলার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নং বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে তাহেরহুদা ইউনিয়নের সচিব আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, ঘটনার দিন আমি সারাদিনই পরিষদের ছিলাম। আমার জানামতে এমন কোন ঘটনা সেদিন ঘটেনি। তিনি বলেন চেয়ারম্যানের সাথে ওই নারী মেম্বরের দীর্ঘদিনের বিরোধ। সেই সুত্র ধরে এই মিথ্যা মামলা করা হতে পারে।

এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আমি আদালতের কোন আদেশ শনিবার পর্যন্ত হাতে পায়নি। হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।