এবার ঝিনাইদহে আব্দুর রহিম নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ওই ইমামকে এলাকাবাসী আটক করে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থী।
বুধবার দুপুরে শহরের আরাপপুর সোনালীপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুটি শহরের একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ভিকটিম শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশুটিকে মসজিদের একটি ঘরে ডেকে নেয় আব্দুর রহিম। পরে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার বাবা মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।
ঘটনার পরে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি ও ভিকটিমের শিশু কর্তৃক বর্ণনার ভিডিও বার্তা জাগো নিউজ ২৪ ডটকম এর কাছে সংরক্ষিত আছে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে অপরিচিত কয়েকজন এসে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে তাদের হেফাজতে নেন। আব্দুর রহিমকে কারা নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আব্দুর রহিম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার পাশাপাশি আরাপপুরের সোনালীপাড়া জামে মসজিদে তারাবি নামাজের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার দুপুরে ধারণকৃত একটি ভিডিওতে অভিযুক্তকে ঘটনার দায় স্বীকার করতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বলেন, আমি শিশুটির সঙ্গে অন্যায় করেছি। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।
আরাপপুর সোনালীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ওই শিশুর বাবা মায়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন এই ঘটনা মিথ্যা বানোয়াট।
অভিযুক্তের ভিডিও স্বীকারোক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিডিওতে কি বলেছেন তা আমি জানিনা। আপনাদের কাছে স্বীকারোক্তির ভিডিও থাকলে যা ইচ্ছা করতে পারেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ধরনের ঘটনা জানতে পারিনি। কোন অভিযোগও পায়নি। অভিযোগ পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সবুজদেশ/এসএএস