ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ঈটভাটার কালো ধোয়ায় পুড়লো ৫০০ বিঘা ফসল, ক্ষতিপুরণের দাবি কৃষকদের

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেলেমাঠ গ্রামের দিগন্ত জোড়া মাঠ। মাঠে আবাদ হচ্ছে পটল, ড্রাগন, কচু, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ। ধানের আবাদ করতে দেওয়া হয়েছে শত শত বীজতলা। গতকালও সব ঠিক ছিলো। কিন্তু গেলো রাতে গ্রামের গ্রামীণ সড়কের পাশে অবৈধ ইটভাটা স্টোন ব্রিকস গ্যাস ছাড়লে তা ছেয়ে যায় ফসলের মাঠে। সকালে কৃষক মাঠে এলে দেখতে পান সকল ফসল পুড়ে গেছে। মাঠের প্রায় আড়াই কিলোমিটার জুড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় পথে বসতে চলেছেন স্থানীয় অন্তত ২০০ জন কৃষক।

তাদের অভিযোগ, স্টোন ব্রিক্স নামের ওই ইটভাটা কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে দিনের পর দিন কালো ধোঁয়া ছাড়ছিলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে ক্ষোভ জানান তারা। এ ঘটনায় ক্ষতিপুরনের পাশাপাশি ইটভাটা উচ্ছেদের দাবি তাদের।

আব্দুল আলিম নামে এক চাষী বলেন, তার বিভিন্ন ফসলের প্রায় ১০ বিঘা আবাদ ছিল। এরমধ্যে রয়েছে কলা, পেঁপে, পেয়ারা, ড্রাগন, পটল, কচু আছে। শনিবার সকালে মাঠে এসে দেখেন ইটভাটার গ্যাসে তার সবই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ঋণ নিয়ে এই আবাদ করেছেন। এখন পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই।

বেলেমাঠের আরেক কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, এই মাঠের পাশ ভাটা থাকার কারণে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এই মাঠে কলা, পেঁপে, ড্রাগন, কচু, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের আবাদ হয়। কোন আবাদই আর ভালো নেই। প্রায় ৫০০ বিঘা জমির কোন আবাদই কৃষক ঘরে তুলতে পারবে না। বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই আবাদ করেছিলেন চাষীরা। এখন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০০ কৃষকের ক্ষতিপূরণ না দিলে তারা পথে বসবেন এবং এখান থেকে ইটভাটা সরানোর দাবি করেন তিনি।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনের মাঠ পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আশ্বাস তার।

সবুজদেশ/এসইউ

ঝিনাইদহে ঈটভাটার কালো ধোয়ায় পুড়লো ৫০০ বিঘা ফসল, ক্ষতিপুরণের দাবি কৃষকদের

Update Time : ১০:০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেলেমাঠ গ্রামের দিগন্ত জোড়া মাঠ। মাঠে আবাদ হচ্ছে পটল, ড্রাগন, কচু, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ। ধানের আবাদ করতে দেওয়া হয়েছে শত শত বীজতলা। গতকালও সব ঠিক ছিলো। কিন্তু গেলো রাতে গ্রামের গ্রামীণ সড়কের পাশে অবৈধ ইটভাটা স্টোন ব্রিকস গ্যাস ছাড়লে তা ছেয়ে যায় ফসলের মাঠে। সকালে কৃষক মাঠে এলে দেখতে পান সকল ফসল পুড়ে গেছে। মাঠের প্রায় আড়াই কিলোমিটার জুড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় পথে বসতে চলেছেন স্থানীয় অন্তত ২০০ জন কৃষক।

তাদের অভিযোগ, স্টোন ব্রিক্স নামের ওই ইটভাটা কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে দিনের পর দিন কালো ধোঁয়া ছাড়ছিলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে ক্ষোভ জানান তারা। এ ঘটনায় ক্ষতিপুরনের পাশাপাশি ইটভাটা উচ্ছেদের দাবি তাদের।

আব্দুল আলিম নামে এক চাষী বলেন, তার বিভিন্ন ফসলের প্রায় ১০ বিঘা আবাদ ছিল। এরমধ্যে রয়েছে কলা, পেঁপে, পেয়ারা, ড্রাগন, পটল, কচু আছে। শনিবার সকালে মাঠে এসে দেখেন ইটভাটার গ্যাসে তার সবই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ঋণ নিয়ে এই আবাদ করেছেন। এখন পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই।

বেলেমাঠের আরেক কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, এই মাঠের পাশ ভাটা থাকার কারণে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। এই মাঠে কলা, পেঁপে, ড্রাগন, কচু, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের আবাদ হয়। কোন আবাদই আর ভালো নেই। প্রায় ৫০০ বিঘা জমির কোন আবাদই কৃষক ঘরে তুলতে পারবে না। বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই আবাদ করেছিলেন চাষীরা। এখন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০০ কৃষকের ক্ষতিপূরণ না দিলে তারা পথে বসবেন এবং এখান থেকে ইটভাটা সরানোর দাবি করেন তিনি।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনের মাঠ পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আশ্বাস তার।

সবুজদেশ/এসইউ