ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ঈদের বাজার নয়, টিনের দোকানে ভিড়

Reporter Name

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান তাণ্ডবে অনেকের ঘরের বা কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। গরীব ও অসহায় মানুষের মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তাণ্ডব থামার পর ঝিনাইদহ জেলাজুড়েই বেড়েছে টিন বিক্রি। শুক্র ও শনিবার টিন বিক্রির দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে।

শনিবার ঝিনাইদহের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে টিন বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে। টিনের দোকানগুলোতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কথা বলে জানা গেছে, ঈদের বাজার ও জামা-কাপড় বাদ দিয়ে টিন কিনতে এসেছেন।

কালীগঞ্জ শহরের মধুসুদন ট্রেডার্সে টিন কিনতে আসা উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার সামছুল ইসলাম বলেন, টিনের চালার ৩ কক্ষের বাড়ি ছিল। দুটি ঘরের টিন উড়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা দিয়ে টিন কিনলাম উপরে দেয়ার জন্য।

ছোট ঘিঘাটি এলাকার মুদি দোকানী কাদের আলী বলেন, এমনিতেই করোনার কারণে আগের মতো ব্যবসা নেই। তারপর এই ঝড়ের কারণে দোকানের সব টিন উড়ে গেছে। কিছু টাকা ছিল যেটা দিয়ে ঈদের বাজার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঝড়ের কারণে টিন কিনতে হচ্ছে।

কালীগঞ্জ শহরের মধুসুদন ট্রেডার্সের মালিক মধুসুদন পাল বলেন, অনেক কোম্পানির টিন ফুরিয়ে গেছে। করোনার কারণে এর আগে তেমন বিক্রি ছিল না। ঝড়ের পরের দিন থেকে বেশ বিক্রি বেড়ে গেছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
৬৪৭ Time View

ঝিনাইদহে ঈদের বাজার নয়, টিনের দোকানে ভিড়

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান তাণ্ডবে অনেকের ঘরের বা কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। গরীব ও অসহায় মানুষের মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তাণ্ডব থামার পর ঝিনাইদহ জেলাজুড়েই বেড়েছে টিন বিক্রি। শুক্র ও শনিবার টিন বিক্রির দোকানগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে।

শনিবার ঝিনাইদহের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে টিন বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে। টিনের দোকানগুলোতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কথা বলে জানা গেছে, ঈদের বাজার ও জামা-কাপড় বাদ দিয়ে টিন কিনতে এসেছেন।

কালীগঞ্জ শহরের মধুসুদন ট্রেডার্সে টিন কিনতে আসা উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার সামছুল ইসলাম বলেন, টিনের চালার ৩ কক্ষের বাড়ি ছিল। দুটি ঘরের টিন উড়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা দিয়ে টিন কিনলাম উপরে দেয়ার জন্য।

ছোট ঘিঘাটি এলাকার মুদি দোকানী কাদের আলী বলেন, এমনিতেই করোনার কারণে আগের মতো ব্যবসা নেই। তারপর এই ঝড়ের কারণে দোকানের সব টিন উড়ে গেছে। কিছু টাকা ছিল যেটা দিয়ে ঈদের বাজার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঝড়ের কারণে টিন কিনতে হচ্ছে।

কালীগঞ্জ শহরের মধুসুদন ট্রেডার্সের মালিক মধুসুদন পাল বলেন, অনেক কোম্পানির টিন ফুরিয়ে গেছে। করোনার কারণে এর আগে তেমন বিক্রি ছিল না। ঝড়ের পরের দিন থেকে বেশ বিক্রি বেড়ে গেছে।