ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে একই পরিবারের তিনজনের করোনায় মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
  • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। সবশেষ শুক্রবার সকালে মারা যান সৈয়দ মাহাবুব হোসেন (৬৫)।

এর আগে ২০ জুন মারা যায় তার নাতি জিহাদ (১৪)। এর চারদিন পর ২৪ জুন মারা যান জিহাদের মা রোখসানা বেগম (৪৮)। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার সকালে মারা যাওয়ার পর সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের মরদেহ পড়ে ছিল ঘরের এক কোণে। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি কেউ ছিলেন না মরদেহের পাশে। কে খুঁড়বে কবর, কে পড়াবে জানাজা, কে করাবে দাফন- কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। দাফন কাফনে সাহায্য করার জন্য কেউ ওই বাড়িতে যায়নি। প্রতিবেশিদের চোখ-মুখে আতঙ্কের ছাপ।

পরে প্রতিবেশিরা সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের মৃত্যুর খবরটি শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জানান। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এসে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। ব্যবস্থা করা হয় দাফন কাফনেরও।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান, সংবাদ পাওয়ার পর সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের নমুনা নিজ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়। পরে এন্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ টিম মাহাবুবের দাফনের ব্যবস্থা করে।

Tag :

সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত

ঝিনাইদহে একই পরিবারের তিনজনের করোনায় মৃত্যু

Update Time : ০৫:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। সবশেষ শুক্রবার সকালে মারা যান সৈয়দ মাহাবুব হোসেন (৬৫)।

এর আগে ২০ জুন মারা যায় তার নাতি জিহাদ (১৪)। এর চারদিন পর ২৪ জুন মারা যান জিহাদের মা রোখসানা বেগম (৪৮)। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার সকালে মারা যাওয়ার পর সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের মরদেহ পড়ে ছিল ঘরের এক কোণে। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি কেউ ছিলেন না মরদেহের পাশে। কে খুঁড়বে কবর, কে পড়াবে জানাজা, কে করাবে দাফন- কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। দাফন কাফনে সাহায্য করার জন্য কেউ ওই বাড়িতে যায়নি। প্রতিবেশিদের চোখ-মুখে আতঙ্কের ছাপ।

পরে প্রতিবেশিরা সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের মৃত্যুর খবরটি শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জানান। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এসে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। ব্যবস্থা করা হয় দাফন কাফনেরও।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান, সংবাদ পাওয়ার পর সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের নমুনা নিজ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়। পরে এন্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ টিম মাহাবুবের দাফনের ব্যবস্থা করে।