ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা: ঝিনাইদহে একদিনে ১৫৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নতুন করে বিদেশফেরতসহ ১৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রোববার (১৫ মার্চ) বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।

কোয়ারেন্টাইনে রাখা ১৫৯ জনের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় একজন, মহেশপুরে ১৫০ জন ও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে আটজন রয়েছেন।

এর আগে সদর উপজেলাতে পাঁচজন, কালীগঞ্জে একই পরিবারের ১২ জন এবং মহেশপুর উপজেলাতে পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত মিলিয়ে ৩৬ জন বিদেশফেরতসহ মোট ১৮১ জনকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো।

এরই মধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা না মানা এবং তাদের সঠিক তদারকির অভাবে এ শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশফেরত ব্যক্তিরা বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারেও গেছেন।

ইতালিফেরত এক নারী বলেন, ইতালি ও দুবাই বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিমানবন্দরে তেমন কোনো পরীক্ষা না করে শুধু একটা কাগজে সই নিয়ে বলেছে জ্বর বা অন্য কিছু হলে আমাদের ফোন করে জানাবেন, এতেই সব শেষ। কিন্তু তারাতো কোনো নির্দেশনা দিলো না। তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ কেন আমাদের নিয়ে টালবাহানা করছে? এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই; এরা কী করে আমাদের করোনা শনাক্ত করবে?

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, বিদেশফেরত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পর্যন্ত ১৮১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। যেহেতু শরীরে জীবাণু ১৪ দিনের ভেতরে প্রকাশ পায় তাই ১৪ দিনের আগে তাদের বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
১২২২ Time View

করোনা: ঝিনাইদহে একদিনে ১৫৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

আপডেট সময় : ১০:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নতুন করে বিদেশফেরতসহ ১৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রোববার (১৫ মার্চ) বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।

কোয়ারেন্টাইনে রাখা ১৫৯ জনের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় একজন, মহেশপুরে ১৫০ জন ও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে আটজন রয়েছেন।

এর আগে সদর উপজেলাতে পাঁচজন, কালীগঞ্জে একই পরিবারের ১২ জন এবং মহেশপুর উপজেলাতে পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত মিলিয়ে ৩৬ জন বিদেশফেরতসহ মোট ১৮১ জনকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো।

এরই মধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা না মানা এবং তাদের সঠিক তদারকির অভাবে এ শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশফেরত ব্যক্তিরা বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারেও গেছেন।

ইতালিফেরত এক নারী বলেন, ইতালি ও দুবাই বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিমানবন্দরে তেমন কোনো পরীক্ষা না করে শুধু একটা কাগজে সই নিয়ে বলেছে জ্বর বা অন্য কিছু হলে আমাদের ফোন করে জানাবেন, এতেই সব শেষ। কিন্তু তারাতো কোনো নির্দেশনা দিলো না। তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ কেন আমাদের নিয়ে টালবাহানা করছে? এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই; এরা কী করে আমাদের করোনা শনাক্ত করবে?

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, বিদেশফেরত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পর্যন্ত ১৮১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। যেহেতু শরীরে জীবাণু ১৪ দিনের ভেতরে প্রকাশ পায় তাই ১৪ দিনের আগে তাদের বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।