ঝিনাইদহে এক ঝাঁক ডাকাত দলের বিস্তর মহড়া
ঝিনাইদহে এক ঝাঁক ডাকাত দলের বিস্তর মহড়ার মধ্যে সেনা সদস্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা ! বংকিরা ক্যাম্প পুলিশ ঘটনা স্থলে যেতে যথেষ্ট দেরি করার অভিযোগ ! চারজন আটক ! ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহে ডাকাতদলের দায়ের কোপে সাইফুল ইসলাম (৩২) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসের মেডিকেল কোরের সৈনিক সাইফুল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবুর ছেলে ও ঝিনাইদহের দিনকাল,নবচিত্র পত্রিকার বিশিষ্ট সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল চৌধুরীর খালাতো ভাই। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাওনঘাটা নামক স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতের ছোট ভাই নৌবাহিনীর সদস্য মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাতে তারা বদরগঞ্জ বাজার (দশমাইল বাজার) থেকে সাইফুলের শ্বশুর ছামছুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তিনজন এক মটরসাইকেলে নিজ গ্রামে বংকিরায় ফিরছিলো। তারা বাড়ির কাছাকাছি হাওনঘাটা মাঠের মধ্যে পৌঁছালে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত জাম গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে গতি রোধ করে। এ সময় গরু ব্যবসায়ী ভেবে ডাকাতরা সাইফুলের সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ডাকাতরা প্রথমে সাইফুলের হাতে, ঘাড়ে ও পরে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ প্রিন্স তাবে মৃত ঘোষণা করেন। ডাঃ প্রিন্স জানান, অনেক আগেই রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মধ্যরাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেছে। নিহত সাইফুলের স্ত্রী শাম্মি আক্তার দেশের সেরা একজন এ্যথলেটিক হিসেবে বহু দেশে ক্রীড়া নৈপুন্য প্রদর্শন করে খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানান তার ভাসুর আব্দুল লতিফ। নিহত সাইফুলের দুই সন্তান রয়েছে। তাদের নাম আবু হামজা ও আবু হুরাইরা। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, দুর্বৃত্তদের ধরতে এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। এদিকে সেনা সদস্য সাইফুলের মৃত্যুর খবর বংকিরা গ্রামে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামের মানুষ দলে দলে সদর হাসপাতালে ভিড় করতে থাকে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, দুর্বৃত্তদের ধরতে এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তিনি জানান, রোববার ভোরের দিকে পুলিশ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এদিকে, নিহতের ভাই নৌসেনা মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বংকিরা পুলিশ ক্যাম্প থেকে ৫০০ গজ দূরে ডাকাত দলের মহড়া চলছিল। তাদের দায়ের কোপে আমার ভাই সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি দৌড়ে পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলেও ঘটনা স্থলে যেতেও যথেষ্ট দেরি করে বংকিরা ক্যাম্প পুলিশ। গ্রামবাসী সাংবাদিকদের নিকটে অভিযোগ করে বলেন, এই ক্যাম্পের পুলিশ ঠিক মত দেওয়া হয়না ঠহল। এর আগেও ওখানে বোমাবাজি হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা এলাকায় পরিচিত বোমাবাজ।এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা অত্যান্ত জরুরী। প্রসাশন পারেন না এমন কিছু নেই আমাদের বিশ্বাস। এলাকার লোকজন এদের ভয়ে মুখ খোলেনা।আমাদের বিশ্বাস প্রশাসন এদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিবে।