Sobujdesh : কুসংস্কার একটি ব্যাধি। এটি সামাজিক ও মানসিক দুই হতে পারে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা সামাজিক ভাবে প্রচলিত অনেক কুসংস্কার রয়েছে যা আমরা শিক্ষিত সমাজও দূরে ঠেলে দিতে পারিনা একমাত্র মানসিক অন্ধত্ব বা দ্বিধা থেকেই। ভ্রান্ত বিশ্বাস-সংস্কারের মধ্যে কোন প্রামাণিক ভিত্তি নেই । কুসংস্কার বা ভুল বিশ্বাসগুলো ছাড়া প্রচলিত বিশ্বাসের সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান হচ্ছে ‘অন্ধ বিশ্বাস এবং অন্ধবিশ্বাস থেকেই কুসংস্কারের উৎপত্তি। মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের একটি ইতিবাচক প্রভাব আছে । তাই বিজ্ঞানের মুখোশ নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা অত্যন্ত সহজ । নানা রকম মানুষের নানা রকম সংস্কার আছে । কোন কোন সংস্কারকে আমরা কুসংস্কার বলি, কোন কোনটাকে ভালো মন্দ কিছুই না বলে প্রশ্রয়ের দৃষ্টিতে দেখি। শিক্ষিত হলেই হবে না সাথে মানসিক চিন্তাভবনারও পরিবর্তন ও প্রসার ঘটাতে পারলেই কুসংস্কার দূর করা সম্ভব। কারণ অনেক কুসংস্কার যেহেতু সামাজিক ভাবে উৎপন্ন যা যুগ যুগ ধরে প্রবাহমান আছে আমাদের পরিবার ও শিক্ষার মাধ্যমেই মনের মধ্যে গভীর রেখা ফেলে। তাই আগে শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তন প্রয়োজন । ঠিক তেমনি করেই জানা গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২ নং মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর থেকে ভিখের মোড় নামক স্থানে যেতে ডান সাইডের মাঠে এক মেহগনি বাগানের ভেতর একটি টিউবওয়েলের পানি পান করলেই সব রোগ মুক্তি পাচ্ছেন মানুষ। এমন গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাচ্ছে পানি সংগ্রহ করার জন্য। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে স্থানীয় লোকজন জানান, নলকূপটি স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব, জুয়েল হোসেন স্থাপন করেছেন। এবং কে বা কারা গুজব রটনা করেছে এই নলকূপের পানি পান করলে সমস্ত রোগ ভালো হয়ে যাবে। কারো রোগ ভালো হয়েছে এমন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেক দূর থেকে গভীর রাত্রেও সেখানে লোকজন আসছে এবং পানি সংগ্রহ করছে। দেখা যায়, অনেক মহিলা এবং পারিবারিক অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে দূর থেকে এখানে আসছে। কিন্তু স্থানটিতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা না থাকায় যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, একজন জানান, তিনি দীর্ঘদিন প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছেন এবং নলকূপের পানি পান করে রোগমুক্তি হবে ভেবে তিনি সেখানে যান এবং পানি পান করেন। কিন্তু এতে তিনি রোগমুক্ত হননি বলে জানান।