ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী বহিস্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান।
বহিস্কৃতরা হলো-জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হাসান সনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস হাদিউজ্জামান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসরাম অর্ক, সরকারি ভেটেরিনারী কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ফরহাদ হোসেন, মুস্তাকিম, ফরহাদ হোসেন-২, ও জেলা ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি আদর্শ, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় তাদের সাময়িক বহিস্কার করা হলো। একই সাথে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সুপারিশও করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি ভেটেরিনারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুল হাসানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে কলেজের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো ফাহিম হাসান সনি’র। শুক্রবার রাতে বিষয়টির সমাধানের জন্য ঝিনাইদহ শহরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে আসে সজীবুল। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কলেজে ফেরার পথে জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্কের সামনে পৌঁছালে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ফাহিম ও তার সমর্থকরা। হামলায় সজীবুল হাসানসহ ২ জন গুরুতর আহত হয়। সেসময় সজীবের সাথে থাকা ভেটেরিনারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হাসানসহ অন্যদেরও হামলা করা হয়। হামলাকারীদের থেকে বাঁচতে মোটরসাইকেল যোগে পালানোর সময় সদর উপজেলার ১৮ মাইল নামক স্থানে দুর্ঘটনায় মুরাদসহ ৩ জন নিহত হয়।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে সজীবুল হাসান বাদি হয়ে ফাহিম হাসান সনিকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরর পর শনিবার রাতে সদর উপজেলার কোরাপাড়া এলাকা থেকে নয়ন মিয়া ও সংগ্রাম জোয়ার্দ্দার নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।