ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: সন্দেহভাজন ২ জন আটক

 

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) তাদেরেকে ঝিনাইদহ ও ঢাকার গাজীপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস রিলিজে র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম এ আটকের কথা জানান।

আটককৃত দুই জন হচ্ছে-আবু সাইদ (৩৯) হরিনাকুন্ড উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার হোসেন সনুর ছেলে এবং আনারুল ইসলাম (৩৬) একই উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনজের হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম জানান, ঝিনাইদহের আলোচিত ট্রিপল মার্ডারে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু সাইদ ও আনারুল নামে ২ জনকে আটক করেছে তারা।

তিনি বলেন, শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে আবু সাইদকে ও গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করা হয়। আটককৃতদের এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা উদঘাটনের জন্য অদিকতর তদন্তের স্বার্থে শৈলকূপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য- এঘটনায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত হানিফের ছোট ভাই হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম ইশা ।

শৈলকূপা থানা ওসি মাসুম খান জানান, গত শুক্রবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাটে যে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে সে ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কোন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হানেফের ভাই।

তিনি আরো জানান, ট্রিপল মার্ডারে নিহত তিনজন হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদননগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের (লাল পতাকা) সামরিক কমান্ডার হানিফ আলী (৫৬), তার শ্যালক একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উন্মাদ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (৩৮) ও কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের আরজান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রাজু (২৮)।

ওসি জানান, ঘটনার পরদিন অর্থাৎ শনিবার বিকেলে ৩জনের লাশের পোষ্টমোর্টেম সম্পন্ন হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে । এরপর সন্ধ্যার দিকে লাশ তিনটি নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তানান্তর করা হয়।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: সন্দেহভাজন ২ জন আটক

Update Time : ১১:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) তাদেরেকে ঝিনাইদহ ও ঢাকার গাজীপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস রিলিজে র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম এ আটকের কথা জানান।

আটককৃত দুই জন হচ্ছে-আবু সাইদ (৩৯) হরিনাকুন্ড উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার হোসেন সনুর ছেলে এবং আনারুল ইসলাম (৩৬) একই উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনজের হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম জানান, ঝিনাইদহের আলোচিত ট্রিপল মার্ডারে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু সাইদ ও আনারুল নামে ২ জনকে আটক করেছে তারা।

তিনি বলেন, শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে আবু সাইদকে ও গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করা হয়। আটককৃতদের এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা উদঘাটনের জন্য অদিকতর তদন্তের স্বার্থে শৈলকূপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য- এঘটনায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত হানিফের ছোট ভাই হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম ইশা ।

শৈলকূপা থানা ওসি মাসুম খান জানান, গত শুক্রবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাটে যে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে সে ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কোন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হানেফের ভাই।

তিনি আরো জানান, ট্রিপল মার্ডারে নিহত তিনজন হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদননগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের (লাল পতাকা) সামরিক কমান্ডার হানিফ আলী (৫৬), তার শ্যালক একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উন্মাদ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (৩৮) ও কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের আরজান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রাজু (২৮)।

ওসি জানান, ঘটনার পরদিন অর্থাৎ শনিবার বিকেলে ৩জনের লাশের পোষ্টমোর্টেম সম্পন্ন হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে । এরপর সন্ধ্যার দিকে লাশ তিনটি নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তানান্তর করা হয়।

সবুজদেশ/এসইউ